রাজনৈতিক সংলাপ
১১ মে ২০১২ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের প্রধান উইলিয়াম হানা৷ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট আর বিরোধী বিএনপি এবং তাদের জোটের মধ্যে চলতি রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কিত এই সব রাজনৈতিক নেতাই৷ সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সফরে এসে এই নেতারা সকলেই তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং বলতে চেয়েছেন যে, তাঁরা মনে করেন, সংকট নিরসনে দুই নেত্রীর এবং দুই দলের মধ্যে সংলাপের আশু প্রয়োজন৷ যেমন ইইউ-র প্রতিনিধিদলের প্রধান উইলিয়াম হানা মনে করেন, সংসদই শ্রেষ্ঠ জায়গা, যেখানে এই দুই নেত্রী পরস্পরের মধ্যে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক পদ্ধতির রাস্তা পরিষ্কার করতে পারেন৷ পাশাপাশি গণতন্ত্রও পাবে তার প্রাপ্য মর্যাদা৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ডয়চে ভেলেকে বললেন, বিদেশি মহল যা এখন বলছে, তা নিযে বেশ অনেকদিন ধরেই দেশের ওয়াকিবহাল মহলে আলোচনা চলছিল৷ যে দুই দলের মধ্যে বোঝাপড়া না থাকলে বিষয়টি সংঘর্ষের রূপ নেবে৷ বর্তমানে তা দেখাও যাচ্ছে৷ গণতন্ত্রায়নের কাঠামো এই সংঘর্ষের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে৷ তাই এর সমাধান তাড়াতাড়ি প্রয়োজন৷
সংসদে আলোচনার মাধ্যমে দুই নেত্রী যে আলোচনায় আসবেন, এমনটা মনে করেন না অধ্যাপক আহমেদ৷ তাঁর মতে, দুই দলই কেয়ারটেকার সরকারের একটা এমন সমাধানসূত্রের সন্ধানে রয়েছে যাতে তারা কেউই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়৷ কারণ নির্বাচনের ফায়দা তোলার ক্ষেত্রে কেউই অন্যকে জমি ছাড়তে রাজি নয়৷ তবে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে, তাই তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কিছু অগ্রসরণ প্রত্যাশায় রয়েছে সকলের৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ