1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাঁওতাল হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া

৯ নভেম্বর ২০১৬

চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে গাইবান্ধায় এ পর্যন্ত দু'জন সাঁওতাল মারা গেছেন৷ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ৷ অনেকগুলো জায়গায় হিন্দুদের ওপর হামলার পর সাঁওতাল হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/2SOp3
বাংলদেশে সাঁওতালদের প্রতিবাদ
ছবি: bdnews24.com

দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পরও খুব বেশি প্রতিক্রিয়া না দেখে টুইটারে কিশোর পাশা ইমন লিখেছেন, ‘‘হুঁ, সাঁওতাল মারেন৷ সাঁওতাল তো হিন্দুও না৷ কেউ প্রতিবাদ করবে না৷ সাঁওতাল মারেন৷ চিনিকল বানান৷ মাইনরিটি কী আবার?''

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমির দখলকে কেন্দ্র করে গত রবি বার পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়৷ শ্যামল হেমভ্রম নামের এক সাঁওতাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান৷ পরে আরেকজনের লাশও উদ্ধার করা হয় ধান খেত থেকে

সংঘর্ষের পর সাঁওতালদের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, পুলিশের ছোড়া গুলিতে কমপক্ষে চারজন সাঁওতাল গুরুতর আহত হয়েছেন এবং আরো চার থেকে পাঁচজনকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ নিখোঁজদের গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়৷

গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববারই রাতেই সাড়ে তিন'শ জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে৷

রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল দাবি করেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ ১৯৬২ সালে আখ চাষের জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় এক হাজার ৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেই জমিতে উৎপাদিত আখ চিনিকলে সরবরাহ করে আসছিল৷ কিন্তু দুই বছর আগে এসব তাদের পূর্বপুরুষদের দাবি করে সাঁওতালরা আন্দোলনে নামেন৷ আন্দোলনের এক পর্যায়ে তারা গত ১ জুলাই প্রায় ১০০ একর আবাদী জমিতে ছোট ছোট কুড়ে ঘর নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালায় বলেও দাবি করে চিনিকল কর্তৃপক্ষ৷ রবিবার চিনিকলের শ্রমিকরা রোপন করা আখ বীজ হিসেবে সংগ্রহের জন্য কাটতে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বলেও দাবি করা হয়৷

কিন্তু ‘ইক্ষু খামার জমি উদ্ধার সংহতি কমিটির সহ-সভাপতি ফিলিমন বাস্কে জানিয়েছেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের সময় জমির মালিকদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল, সেখানে ‘ওইসব জমিতে আখ ছাড়া অন্য ফসলের চাষ হলে প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়া হবে'-এ বিষয়টিরও উল্লেখ ছিল৷ কিন্তু কিছুদিন ধরে ওইসব জমিতে ধান ও তামাক চাষ হচ্ছিল৷

এদিকে ‘রংপুর বিভাগীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠী'-র মুখপাত্র মাইকেল বি. মালো দাবি করেন,  রংপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ চিনি উৎপাদন বন্ধ রেখে অধিগ্রহণকৃত জমির শর্ত অমান্য করেছে৷ এবং শর্ত অমান্য করায় সাঁওতালরা নিজেদের পূর্বপুরুষদের জমিতে ফিরতে চায়৷ তিনি জানান, পুলিশ আদিবাসীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে৷

এদিকে পুলিশের উপস্থিতিতে সাঁওতালতের ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগও উঠেছে৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য