1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুদকের ‘ঘুসখোর’ পরিচালক!

২৫ জুন ২০২১

পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার মামলায় দুদকের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন আবারও খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট৷

https://p.dw.com/p/3vXHo
প্রতীকী ছবিছবি: DW

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়৷ এর আগে দুইবার এনামুলের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট৷

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘‘তার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট৷ মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে৷ ১১ জনের সাক্ষ্য এরই মধ্যে হয়ে গেছে৷’’

পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের সাবেক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ঘুস লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে দুদক৷

মামলায় বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ৪০ লাখ টাকা ঘুস দেন ডিআইজি মিজান৷

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ১৩ জুনের মধ্যে রমনা পার্কে এই লেনদেনের ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়৷ এই মামলায় গত বছর ১৯ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন৷

গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন খারিজ করে৷ এর আগে দুইবার এনামুলের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট৷ পরে ১৬ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির৷ আগামী ২৯ জুন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে৷

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে৷

চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির৷

সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান ২০২০ সালের ৮ জুন দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুস নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির৷ তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি৷

বাছির অভিযোগটি অস্বীকার করে দাবি করেন, ডিআইজি মিজান তার কণ্ঠ নকল করে কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড টেলিভিশনকে চ্যানেলকে দিয়েছেন৷ তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷

দুদক ২০১৯ সালের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে৷ ডিআইজি মিজানকে পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য