দু'দিনের সফরে আফগান প্রেসিডেন্ট দিল্লিতে
৪ অক্টোবর ২০১১হালে আফগানিস্তানে পর পর কয়েকটি বড় ধরণের হামলা বিশেষ করে বুরহানুদ্দিন রাব্বানির হত্যায় তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া মার খাওয়া এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কাবুলের সম্পর্কের ক্রম অবনতির প্রেক্ষিতে, আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-এর নতুন দিল্লি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা পাকিস্তানের চোখে খুবই স্পর্শকাতর৷ প্রতিবেশী অঞ্চলে চিরকালের বৈরি ভারতের আধিপত্য কোনো দিনই ভাল চোখে দেখেনি পাকিস্তান৷ ২০০৮ সালে ভারতের কাবুল দূতাবাসে সন্ত্রাসী হামলার পেছনে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তয়বা এবং পাকিস্তানের মদৎপুষ্ট আফগান সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হাক্কানির হাত আছে বলে অভিযোগ ওঠে৷ ঐ হামলায় মারা যায় ৪০ জন৷
আফগানিস্তানের বর্তমান ভঙ্গুর সুরক্ষা পরিস্থিতি তথা এই অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তা বাতাবরন নিয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাই আজ সন্ধ্যায় ব্যাপক আলোচনায় বসছেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে৷ শোনা যাচ্ছে, আফগান পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে ট্রেনিং দেবার জন্য ভারতের সাহায্য চাইবেন তিনি৷ হাক্কানি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসাজসের অভিযোগের প্রসঙ্গও উঠতে পারে বৈঠকে৷ প্রসঙ্গত, এবছর মনমোহন সিং-এর সঙ্গে কারজাই-এর এটা তৃতীয় বৈঠক৷
পাশাপাশি ভারতের সহায়তায় আফগানিস্তানের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলি সুসংহত করতে দু'দেশের মধ্যে সই হবে কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন আজ আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷
উন্নয়ন প্রকল্পগুলির মধ্যে আছে আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ খননের বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারকপত্র সই৷ উল্লেখ্য, কাবুলের ৬০ কিলোমিটার দূরে হাজিগাকে ১৮০ কোটি টন আকরিক লোহা খননের এক বড় বরাত পেতে চলেছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থা সেইলের এক কনসোর্টিয়াম৷ ভারত ঐ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে কয়েক শো বিলিয়ন ডলার৷ আফগানিস্তানের অন্যান্য উন্নয়নমুখী প্রকল্পে ভারত ২০০১ থেকে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ