‘দুনীর্তি আর নোংরা রাজনীতির কাছে আজ শিক্ষা জিম্মি'
২৪ জুন ২০১৬বাচ্চাদের সৃজনশীল পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে ডয়চে ভেলের পাঠক নিয়াজ মাহমুদ জানাচ্ছেন , অনেক শিক্ষক নাকি সৃজনশীল প্রশ্নই করতে পারেননা৷ তাই বাচ্চাদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যেতে পারে?
নিয়াজ মাহমুদের সাথে পাঠক তাসিনও সুর মিলিয়েছেন৷ তাছাড়া ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাঠক সুমন মিত্র, মাহফুজ রহমান, কামরুল হাসান, নোমান, দিদারুল আলম, তুষার, নেহাল, শরিফুল আলম, হারুন উর রশীদ সকলেই কিন্তু একই মত পোষন করেন৷
‘‘ভবিষ্যত প্রজন্ম ধ্বংস হচ্ছে, জাতি হচ্ছে মেধাশূণ্য৷ উদাহরণ সরূপ বলা যায় ‘আই অ্যাম জিপিএ ফাইভ-'' বাংলাদেশের পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে এই মন্তব্য পাঠক শাকিলের৷
আর মারুফ হাসান তন্ময় বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছেন৷ তবে শিক্ষা পদ্ধতির এই দূরবস্থার জন্য কিন্তু নিয়মিত ফেসবুকবন্ধু অর্জুন বৈদ্য দেশের পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন৷
তাঁর ভাষায়,‘‘ আগে শিক্ষকরা সম্মানের জন্য আসতো আর এখন টাকার কথা চিন্তা করে আর তা সবাই না হলেও বেশিরভাগই৷ ছাত্ররা আসতো শিক্ষিত হবার জন্য আর এখন তারা আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় নেতা আর সন্ত্রসী হবার জন্য৷ আসলে নীতি আদর্শহীন যে কোনো ব্যবস্থা শুধু কাগজ কলমে এগিয়ে যায়, সমাজে আলোকিত মানুষের সার্টিফিকেট বাড়ে- আলোকিত মানুষ নয়৷ তার উদাহরণ বর্তমান সময়৷''
অন্যদিকে সুব্রত দেবনাথের সোজা মন্তব্য, ‘‘দুনীর্তি আর নোংরা রাজনীতির কাছে আজ শিক্ষা জিম্মি৷'' শুধু তাই নয়, এর সাথে নাকি শিক্ষকরাও জড়িত৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী