1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতি দমনে হেল্পলাইন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১০ জানুয়ারি ২০১৪

দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণে এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে৷ দুর্নীতি দমনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জনসাধারণের জন্য চালু করেছেন হেল্পলাইন৷ এখন কেউ ঘুস চাইলেই কিন্তু পরবেন বিপদে৷

https://p.dw.com/p/1Ao0A
ছবি: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images

ক্ষমতা গ্রহণের পরেই দিল্লির আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতি দমনের মতো তাঁর নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালনে সবথেকে জটিল ও কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছেন৷ দুর্নীতি মোকালিলায় খুলেছেন আট ডিজিটের বিশেষ হেল্পলাইন৷ সহজে মনে রাখার জন্য কিছুদিন পরে চার ডিজিটের একটি ছোট নম্বর দেয়া হবে এবং সংবাদপত্রে, এফএম রেডিওতে ও শহরে হোর্ডিং লাগিয়ে তা সবাইকে জানানো হবে৷ কোনো সরকারি কর্মচারি বা সংস্থা ঘুস চাইলে যে-কেউ বর্তমানের ঐ বিশেষ ফোন নম্বরে দিল্লি সরকারের দুর্নীতি দমন শাখায় ফোন করে তা জানাতে পারেন৷ ফোন করার পর দুর্নীতি দমন শাখার অফিসার ঐ ঘুসখোর কর্মচারিকে হাতেনাতে ধরার জন্য অভিযোগকারীকে বুঝিয়ে দেবেন কীভাবে ঐ ঘুসখোর অফিসার বা কর্মচারির বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশন চালাতে হবে৷ যেমন ঘুস চাইবার সময় কীভাবে গোপনে ঐ কর্মচারির অডিও বা ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে৷ তার ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাঁদ পেতে ঘুসখোর কর্মচারিকে গ্রেপ্তার করবে সরকারের দুর্নীতি দমন শাখা৷ অভিযোগকারীকে নিরাপত্তা দেবে সরকার৷

Arvind Kejriwal Indien Ministerpräsident Vereidigung Menschenmenge
দিল্লি বিধান সভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির প্রচারাভিযানছবি: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images

কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘দুর্নীতি দূর করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চাই৷ তারজন্য লাঠি বা অন্য কিছুর দরকার নেই একটা ফোন হলেই যথেষ্ট৷ এতে দুর্নীতিপরায়ণ সরকারি অফিসার বা কর্মচারিদের মনে ভয় ঢুকবে৷ ঘুস নেবার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে৷ তবে একথাও ঠিক, সব কর্মচারি অসৎ নন৷ কিছু অসৎ কর্মচারির জন্য দপ্তরের বদনাম হয়, তাঁদের রেহাই দেয়া হবে না৷''

কংগ্রেস পার্টির রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ‘‘ধীরে চলো'' নীতি অবলম্বন করছে আম আদমি সরকার – বিজেপির এই অভিযোগ খারিজ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই তদন্ত শুরু হবে৷ দিল্লি সরকারের দুর্নীতি দমন শাখায় উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করছেন ঐ শাখার অবসরপ্রাপ্ত জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার দিলীপ কুমারকে৷ তাঁকে সাহায্য করতে থাকবে এক বিশেষ টিম৷

দিলীপ কুমার মনে করেন, দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সরকারের কাজকর্মের পরিসংখ্যানগত মূল্যায়ন সরকার নিজে করতে পারেন না, সেটা করবে নাগরিক সমাজ৷ যেমন, বেসরকারি কোম্পানিগুলির সাফল্যের খতিয়ান তাদের গ্রাহক৷ তারা কতটা সন্তুষ্ট সেটাই তাদের সাফল্যের মাপকাঠি৷ সরকার কতটা সফল সেটা যাচাই করতে হবে নাগরিক সমাজ কতটা সন্তুষ্ট সেটা বিবেচনা করে৷ শহরে যানবাহন চলাচল যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে ট্রাফিক পুলিশ কতগুলো চালান ইস্যু করলো বা কত টাকা জরিমানা করলো সেটা বড় কথা নয়৷ দুর্নীতি নাগরিক সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেভাবে বাসা বেঁধেছে তার মোকাবিলা করা খুব যে সহজ হবে না, তা বলাই বাহুল্য৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য