দুর্নীতি তদন্তে সহযোগিতা করবেন ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য
১৯ জানুয়ারি ২০২৩ইইউ পার্লামেন্টে মরক্কোর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ইটালির এই রাজনীতিবিদ মরক্কোর কাছ থেকে অর্থ গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় আটক চার সন্দেহভাজনের মধ্যে পান্সেরি একজন। কাতার ও মরক্কোর পক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে প্রভাবিত করতে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে চার সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে। তবে কাতার ও মরক্কো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
গত ৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় পান্সেরিকে৷ এখনো তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বেলজিয়ামে তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নগদ ৬ লাখ ইউরো উদ্ধার করে পুলিশ।
গত মাসে বেলজিয়াম ও ইতালিতে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১.৫ মিলিয়ন ইউরো (১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) উদ্ধার করা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গ্রিক সদস্য এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইভা কাইলি, সংসদীয় সহকারী ফ্রান্সেসকো জিওর্জি ও ইতালিয়ান এনজিও প্রধান নিকোলো ফিগা-তালামানকা। চার সন্দেহভাজনকে 'অপরাধমূলক সংগঠন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের' অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, মামলায় জড়িত পক্ষগুলো ও সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে প্রসিকিউশনের কাছে বিবৃতি প্রাদানের প্রতিশ্রুতি দেন পান্সেরি। বিশেষ করে অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত অন্যান্য দেশ ও অজানা ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে সন্দেহভাজনদের তালিকা আরও অনেক নাম চলে আসতে পারে।
প্রসিকিউটরের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, সহযোগিতার বিনিময়ে পান্সেরির সাজা কমিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে, যার মধ্যে চার বছরের স্থগিত কারাদণ্ড, জরিমানা এবং অর্জিত সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা ইতিমধ্যে ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সংস্কার আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
একেএ/ এসিবি (এএফপি/রয়টার্স)