দুর্নীতির মামলায় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্টের সাজা বহাল
১৭ মে ২০২৩২০২১ সালের রায়ে তিন বছর কারাদণ্ডের মধ্যে দুই বছর ছিল স্থগিত কারাদণ্ড৷ দণ্ডাদেশের বাকি একবছর সার্কোজি চাইলে বাড়িতে হাতে ইলেক্ট্রনিক ব্রেসলেট পরে কাটাতে পারেন বলে আপিল আদালত বুধবার জানিয়েছে৷
রায় শোনার পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সার্কোজি কোনো মন্তব্য করেননি৷ তবে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আপিল আদালতে আপিল করা হবে৷
২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন সার্কোজি৷
সার্কোজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আনা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে যে তদন্ত হচ্ছে তার তথ্য পেতে ম্যাজিস্ট্রেট জিলব্যার আজিব্যারকে ঘুস দিতে চেয়েছিলেন৷ ঘুস হিসেবে জিলব্যারকে মোনাকোয় একটি উচ্চবেতনের চাকরি পেতে সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল৷
সার্কোজির বিরুদ্ধে আরও মামলা
প্রায় একদশক তদন্ত করার পর ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল প্রসিকিউটর্স অফিস গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা সার্কোজির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আবেদন করবে৷ ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় সার্কোজি লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ইউরো নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে৷
এছাড়া ২০১২ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় নির্দিষ্ট সীমার দ্বিগুন খরচ করায় সার্কোজিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এর বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন সার্কোজি৷ এ বছরের নভেম্বরে সেই বিচার প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে৷
ফ্রান্সের ইতিহাসে সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগেও উঠেছে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ২০১১ সালে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন৷ তবে শুধু দু বছরের স্থগিত কারাদণ্ড হওয়ায় সরাসরি কারাবরণ করতে হয়নি তাকে৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)