দুর্যোগের ক্ষতি কমানোর চেষ্টায় জার্মান বিজ্ঞানীরা
২০ জুন ২০১৭জার্মানির বিমান ও সেন্টার, ডিএলআর-এ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন দু'শ'র বেশি গবেষক৷ তাঁরা সবসময় পৃথিবীর উপর নজর রাখছেন, যেন দুর্যোগের সামান্য কোনো লক্ষণ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা যায়৷ ভূ-বিজ্ঞানী ড. টোবিয়াস স্নাইডারহান বলেন, ‘‘আমাদের কাজ হচ্ছে স্যাটেলাইটের সাহায্যে যত দ্রুত সম্ভব দুর্গত এলাকার মানচিত্র তৈরি করা৷''
কৃত্রিম উপগ্রহগুলোতে শক্তিশালী ক্যামেরা আছে, যা উপদ্রুত এলাকার সরাসরি ছবি পাঠিয়ে থাকে৷
স্যাটেলাইটের পাঠানো ছবি ডিএলআর-এর ‘আর্থ অবজারভেশন সেন্টার'-এ বিশ্লেষণ করা হয়৷ এরপর সেগুলো দুর্গত এলাকায় থাকা উদ্ধারকারী দল, জরুরি কর্মী ও বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠানো হয়৷ এই ছবি ও মানচিত্র তাঁদের কাজে সমন্বয় করতে সহায়তা করে৷
এসব ছবি ও মানচিত্র উদ্ধারকারী দলকে পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করেছে৷
স্নাইডারহান বলেন, ‘‘সুনামির মতো দুর্যোগ হয়ত আমরা কখনোই রুখতে পারব না৷তবে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো যেতে পারে৷''
গবেষকরা ইদানিং নতুন একটি ক্যামেরা দিয়ে কাজ করছেন৷ এই ক্যামেরার শক্তিশালী সেন্সর ৫২০ কিলোমিটার উঁচু থেকে থার্মাল রেডিয়েশন শনাক্ত করতে সক্ষম৷ দিনের যে-কোনো সময় যে-কোনো আবহাওয়ায় এটি কাজ করতে পারে৷
ক্যামেরার মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় ফোকাস করে পাওয়া তথ্য ও ছবি দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যেতে পারে৷
গবেষকরা এখনই ভবিষ্যতের কথাও ভাবা শুরু করেছেন৷ তারা প্রতিবেশী মঙ্গলগ্রহের কথা ভাবছেন৷ মানুষ যদি কখনও সেখানে যেতে চায় তাহলে এ ধরণের মানচিত্র ঐ অভিযান সফল করতে সহায়তা করবে৷
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ড. আংকো ব্যোর্নার বলেন, ‘‘আমাদের ক্যামেরা দিয়ে বিভিন্ন গ্রহের পৃষ্ঠভাগের ছবিও তোলা সম্ভব৷ এরপর পৃথিবীতে সেই ছবিগুলোকে ত্রিমাত্রিক ছবিতে পরিণত করা যায়৷ বিজ্ঞানীরা এই ছবি দিয়ে তাঁদের গবেষণা চালাতে পারেন৷''
হাই-রেজ্যুলেশনের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র হচ্ছে ভবিষ্যৎ৷ এর মাধ্যমে কোনো এলাকার উপর দিয়ে ভার্চুয়ালি ঘুরে আসতে পারেন গবেষকরা – এমনকি সবচেয়ে দূরের গ্রহ থেকেও৷
জেডএইচ/