দ্রুত মানব পাচার মোকাবিলা করতে হবে : মুহিব্বুর রহমান
২৫ আগস্ট ২০১১মানব পাচার একটি জঘন্য অপরাধ৷ শুধু বাংলাদেশে নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা৷ বাংলাদেশে মানব পাচার রোধে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ থাকলেও, এ বিষয়ে এতোদিন কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছিলো না৷ কিন্তু ক'য়েক মাস আগে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১১'-এর একটি খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা৷ নির্ধারণ করা হয় মানব পাচারের একটি সংজ্ঞা, রাখা হয় মানব পাচার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য শাস্তির বিধানও৷
নতুন আইনে নারী ও শিশু পাচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড৷ আর অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷ জরিমানা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা৷ অথবা দু'টোই৷
অবশ্য শুধু আইন প্রণয়ন করাই যথেষ্ট নয়৷ তাই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার বিষয়ক বিশেষ দূত লুইস সিডাবাকা'র সঙ্গে বৈঠকের পর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, কেউ যাতে বিদেশে প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য নতুন আইনটি সার্বজনীন ও কঠোরতম করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে নারী ও শিশু পাচারের কথা কার্যত স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তবে অদক্ষ শ্রমিকরাই বিদেশে গিয়ে বেশি প্রতারিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন৷
এদিকে, এই মানব পাচার বিষয়ক খসড়া আইনের একটি ধারার কড়া সমালোচনা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা৷ এর মাধ্যমে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা হয়রানির মুখে পড়তে পারেন বলে আশংকা৷ তাঁরা মনে করেন, এতে করে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে৷ এ ব্যাপারে বিআইপিএসএস-এর রিসার্চ অ্যানালিস্ট মুহিব্বুর রহমান জানান, ‘‘বাংলাদেশে অনেক এজেন্সিই মানব সম্পদ রপ্তানি করছে৷ কিন্তু বহুক্ষেত্রে সবাই সব ধরনের ‘লিগাল প্রোসিডিওর' মেনে চলছেন না৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই এই আইনটি কার্যকর হলে, তা একটি আইনগত চাপ তৈরি করবে৷ আমি অবশ্য মনে করি, এই আইন মানব পাচার রোধ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷ তাছাড়া এটা শীঘ্র পাশ না হলে, আমরা এক ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দিকে চলে যাবো৷''
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক