ধর্ষণের শিকার কিশোরীর আকুতি
২৮ আগস্ট ২০১৮মরক্কোর রাজা মোহাম্মেদ ফো'র বরাবর করা একটি অনলাইন পিটিশনে ইতোমধ্যে স্বাক্ষর করেছেন চব্বিশ হাজারের বেশি মানুষ৷ তাঁরা সবাই দু' মাস আটকে রেখে ধর্ষণ এবং নির্যাতন করা কিশোরিটি যাতে ন্যায় বিচার পান, সেই দাবি জানিয়েছেন৷
‘‘আটকাবস্থায় তাঁর উপর যতরকমের নির্যাতন সম্ভব, সবই করা হয়েছে৷ ১৫ ব্যক্তি তাঁকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে, পিটিয়েছে, এমনকি তাঁকে ঠিকমতো খাবারও দেয়া হয়নি৷ তাঁর ন্যূতম স্যানিটারি চাহিদাও পূরণ করা হয়নি৷ আটককারীরা তাঁর শরীরে জোরে করে ট্যাটুও এঁকে দিয়েছে,'' জানিয়েছেন অনলাইন পিটিশনের আয়োজকরা৷
সতের বছর বয়সি কিশোরী স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, একদল গুন্ডা জুনমাসে তাঁকে অপহরণের পর দুইমাস উলাদ ইয়াদ নামের ছোট্ট এক শহরে বন্দি করে রাখে৷
বন্দি থাকাকালে কিছু মানুষ অপহরণকারীদের অর্থ দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করতো বলেও জানিয়েছেন ওই তরুণী৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা আমাকে খাবার বা পানি দিতো না, এমনকি আমাকে গোসলও করতে দেয়নি৷ আমি তাদের বিচার চাই৷ তারা আমার সঙ্গে যা করছে, তার মূল্য তাদের দিতে হবে৷''
কিশোরীর বাবা মোহাম্মেদ ডয়চে ভেলের আরবি ভাষাকে জানিয়েছেন, তার মেয়েকে সহায়তা করতে সরকারি কর্মকর্তা, অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিকরা বাড়িতে গেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে এবং তাকে মানসিক সহায়তা দিতে একটি মেডিকেল কমিটি গঠন করা হয়েছে৷''
এদিকে, মরক্কোর মানবাধিকার সংগঠনের নাঈমা ওউয়ালি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আলোচিত কিশোরীকে অপহরণ এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে৷ আরো কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
উল্লেখ্য, মরক্কোয় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি যৌন সহিংসতার ঘটনা আলোচনায় আসার পর এ সংক্রান্ত আইন এবং শাস্তি আরো কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাক্টিভিস্টরা৷ দেশটির ৫০ শতাংশের বেশি নারী নানাভাবে সহিংসতার শিকার বলেও সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানা গেছে৷
লুইস সেন্ডার্স ফোর / এআই