‘ধূমপান নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বিশ্ব’
৩১ মে ২০১৮বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস৷ সেদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডাব্লিউএইচও বলেছে যে, অনেক দেশই ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারছে না৷
‘‘২০০০ সালে বিশ্বে প্রাপ্তবয়স্কদের ২৭ ভাগ ধূমপায়ী ছিলেন৷ ২০১৬ সালে তা কমে হয়েছে ২০ ভাগ৷ তার মানে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছিল,’’ বলছিলেন সংস্থার অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ইউনিটের পরিচালক ডগলাস বেটচার৷ কিন্তু এরপর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়নেই আটকে আছে, যেহেতু জনসংখ্যা বাড়ছে৷
জার্মানিতে ধূমপায়ীর সংখ্যা অনেক দেশের চেয়ে কম হলেও বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি৷ ২০১৫ সালে ২৭ ভাগেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান করতেন৷ ২০০০ সালে তা ছিল ৩০ দশমিক ৬ ভাগ৷ বেটচার বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর চেয়ে গড়ে ভালো করছে৷
‘‘এর একটি বড় কারণ হলো, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে তরুণ সমাজের জন্য দাম কম রেখে ও বাধাহীনভাবে বাজারজাত করার সুযোগ পায় তামাক শিল্পগুলো,’’ বলছিলেন তিনি৷
তবে তামাক শিল্পগুলোর বাধাহীন এগিয়ে চলাই শুধু নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চীন ও ভারতে যেখানে সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী বাস করেন, অনেকে জানেনই না যে তামাক কী ক্ষতি করতে পারে৷
বেটচার বলেন, ‘‘যেমন চীনে ৭৩ শতাংশ ধূমপায়ীই বিশ্বাস করেন না যে, ধূমপানের ফলে স্ট্রোক হতে পারে৷ এছাড়া ৬১ ভাগ মানেন না যে, এটি হার্ট অ্যাটাকেরও কারণ৷ এই তথ্য ঘাটতি কমাতে হবে৷’’
সংস্থাটির হিসেব বলছে, চীনে ৩০ দশমিক ৭ কোটি ও ভারতে ১০ দশমিক ৬ কোটি ধূমপায়ী আছেন৷ অর্থাৎ বিশ্বের ৩৮ ভাগ ধূমপায়ীর বাস এ দু'টি দেশে৷ সরকারগুলো চাইলেই এই সংখ্যা কমাতে পারে বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
সারাবিশ্বে বছরে ৭০ লাখ মৃত্যুর কারণ ধূমপান৷ এর মধ্যে ধূমপায়ীদের তামাক সেবনের কারণে প্রায় ৯ লাখ অধূমপায়ী পরোক্ষভাবে এর শিকার হয়ে মারা যান৷
জেডএ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)