1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন করে দেশ গড়ার অঙ্গীকার বাইডেন-হ্যারিসের

১৩ আগস্ট ২০২০

রানিং মেট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে বেছে নেবার পর ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক জনসভায় যৌথ প্রচার অভিযান শুরু করলেন৷ দুজনেই ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেন৷

https://p.dw.com/p/3gtAc
USA Wahlen Kamala Harris
ছবি: picture-alliance/AP Images/AP Photo/C. Kaster

করোনা সংকটের মাঝে সশরীরে উপস্থিত থেকে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ বিরল ঘটনা হয়ে উঠছে৷ ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এতকাল নিজের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছিলেন৷ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে বেছে নেবার পর দুই প্রার্থী সশরীরে জনসমক্ষে এসে ঐক্য ও নিজেদের মধ্যে রসায়ন তুলে ধরলেন৷ তবে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় দলের সমর্থকরা সেই জনসভায় অংশ নিতে পারেন নি৷

বুধবারের জনসভায় তাঁরা সম্মিলিতভাবে কড়া ভাষায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করলেন৷ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিদায় নিশ্চিত করে নতুন করে দেশ গড়ার অঙ্গীকার করলেন বাইডেন ও হ্যারিস৷ হ্যারিস বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্প ও মাইক পেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷

করোনা ভাইরাস প্রায় সব দেশেই সংকট সৃষ্টি করলেও অন্য কোনো উন্নত দেশ অ্যামেরিকার মতো বিপর্যস্ত হয় নি৷ ট্রাম্প শুরু থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় পরিস্থিতির এত অবনতি ঘটেছে, বলেন হ্যারিস৷ তাঁর মতে, অযোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করলে এমনটাই ঘটে৷ হ্যারিস আরও বলেন, দেশের মানুষ নেতৃত্বের জন্য আকূল হয়ে রয়েছেন৷

জনসভায় বাইডেন কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নেবার কারণ হিসেবে বলেন, অভিজ্ঞ ও কড়া মনোভাবের জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি প্রথম দিন থেকেই ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাতে প্রস্তুত৷ অভিবাসী পরিবারের সন্তান হিসেবে হ্যারিসের সাফল্য গোটা দেশকে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে বাইডেন মনে করেন৷

অতীতের রেষারেষি ভুলে হ্যারিসও বাইডেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ তিনি বলেন, বাইডেন দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রানিং মেট হিসেবে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে বেছে নিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, হ্যারিসের নাম ঘোষণার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাইডেন-হ্যারিস প্রচার অভিযানের জন্য দুই কোটি ৬০ লাখ ডলার চাঁদা জমা পড়েছে৷

ট্রাম্পও বাইডেন-হ্যারিস জুটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছেন৷ তবে সেই বার্তা কিছুটা অসংলগ্ন বলে মনে হচ্ছে৷ তিনি দল হিসেবে ডেমোক্র্যাটদের একই সঙ্গে অ্যামেরিকার জন্য বড় বেশি উদারপন্থি হিসেবে তুলে ধরছেন৷ আবার সমর্থকদের কাছে দলটি নাকি যথেষ্ট প্রগতিশীল নয়৷ ট্রাম্প এই জুটি সম্পর্কে বর্ণবাদী ও নারীবিরোধী মন্তব্যও করছেন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, যে পাড়ার পরিবেশ নিরাপদ রাখতে শহুরে গৃহবধুরাও এবার তাঁকেই ভোট দেবেন৷

ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় কমলা হ্যারিস যেভাবে জো বাইডেনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন, সে বিষয়ে খোঁচা দিতে ভোলেন নি ট্রাম্প৷ অথচ গত মাসেই তিনি বলেছিলেন, যে বাইডেন হ্যারিসকে বেছে নিলে সেটা সুচতুর সিদ্ধান্ত হবে৷

এসবি/কেএম (এপি, এএফপি)