1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১১ জনের লাশ উদ্ধার

২ জুলাই ২০১৮

এক পরিবারের এগারো সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নতুন দিল্লির পুলিশ৷ নিহতদের মধ্যে দশজনের চোখ বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের বাড়ি থেকেই৷ তবে মরদেহগুলোতে কোনো গুলির চিহ্ন নেই৷

https://p.dw.com/p/30fGq
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images/AFP

নতুন দিল্লি পুলিশ রবিবার জানিয়েছে, ভারতের রাজধানীর এক গ্রাম থেকে একটি পরিবারের চার পুরুষ এবং সাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ নিহতদের চোখ এবং হাত বাঁধা মরদেহ তাঁদের বাড়ির আঙিনায় একটি লোহার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলছিল৷

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘আমরা যখন বাড়িটিতে পৌঁছেছিলাম, তখন এগারো জনের মধ্যে দশ জনের মরদেহই ঝুলছিল৷ আর ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার মৃতদেহ মেঝেতে পড়েছিল৷'' 

তবে বাড়িটিতে ঠিক কী ঘটেছিল তা অবশ্য পুলিশ এখনো জানাতে পারেনি৷ এই বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘সেখানে কী ঘটেছে, তা এত তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব নয়৷ আমরা তদন্ত করছি এবং কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দিচ্ছি না৷''

পুলিশ বিষয়টিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে একটি মামলা নথিভূক্ত করেছে৷ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মরদেহগুলোতে কোনো গুলির চিহ্ন নেই কিংবা কোনো ধরনের আত্মহত্যা সংক্রান্ত চিঠিও মেলেনি৷

ভারতের প্রথম সারির পত্রিকা হিন্দুস্থান টাইমসে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নতুন দিল্লির উত্তরাঞ্চলের বুরারি গ্রামে গত দু' দশকের বেশি সময় ধরে পরিবারটি বসবাস করছিল৷ বাড়িটির মালিক স্থানীয় এক প্লাইউড এবং দুধ বিক্রেতা৷

নিহতরা কোনো আধ্যাত্মিক বা রহস্যজনক বিশ্বাস থেকে একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ ইতোমধ্যে তাঁদের বাড়ি থেকে হাতে লেখা কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো তাঁরা কোনো অতিলৌকিক বিশ্বাসের চর্চা করতেন বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ তবে নিশ্চিতভাবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না৷

তাছাড়া গ্রামটি বিভিন্ন গুণ্ডা দলের মধ্যে সহিংস সংঘাতের জন্যও পরিচিত৷ গতমাসে গ্রামটির বাজারে দুই সশস্ত্র গুন্ডা দলের মধ্যে সংঘর্ষে তিন ব্যক্তি নিহত ও পাঁচ ব্যক্তি আহত হন৷ সেই ঘটনার সঙ্গে এই পরিবারের প্রাণহানির কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা-ও তদন্ত করা হচ্ছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে৷

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)