1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন লড়াই শুরু হোক কারাগার থেকে

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
২৯ জানুয়ারি ২০২১

মাঝে মাঝেই সংবাদে শিরোনাম হয় দেশের বিভিন্ন কারাগার৷ দণ্ডিতের দণ্ড বা ফাঁসি কার্যকর, বিখ্যাত কারো কারা জীবন- ইত্যাদির বাইরে অনাকাঙিক্ষত ঘটনারও খবর দেখি আমরা৷

https://p.dw.com/p/3oZ1M
কারাগার
ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার (ফাইল ছবি)ছবি: picture-alliance/AP Photo

হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদের সঙ্গে কারাগারের অভ্যন্তরে এক নারীর সাক্ষাৎ এবং একান্তে সময় কাটানো-এ রকমই একটা খবর৷ 

এ ঘটনায় সবচেয়ে আলোচিত খবরটি চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ফেসবুক পাতার৷ ২২ জানুয়ারি ফেসবুকে তারা ভিডিও প্রতিবেদনটি ছাড়ে৷ ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তা ৯০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে৷ ১৯ হাজার মানুষ মন্তব্য করেছে, ৪ লাখের বেশি মানুষ রিঅ্যাকশন দিয়েছে, এক লাখের বেশি মানুষ খরবটি শেয়ার করেছে৷

খবর বলছে, ঘটনাটি ৬জানুয়ারির৷ খবরের মূল সূত্র কারাগারের সিসিটিভি৷ ৫জনকে প্রত্যাহারের ঘটনা ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি৷ তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, কারাগারের নিজস্ব সিসিটিভিতে ধরা পড়া অপরাধে কাউকে প্রত্যাহার করতে কেন এত দীর্ঘ সময় লাগলো? তাহলে কেবল সংবাদ মাধ্যমে আসা এবং আলোচিত হওয়ার কারণেই কি প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটলো? এ রকম ঘটনা কি এবারই প্রথম? অতীতে এ রকম আর কী কী ঘটনা ঘটেছে?

২.

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রিপোর্ট বলছে, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন নিজেই তুষার আহমেদের নারীসঙ্গ নেয়ার এই ঘটনা তত্ত্বাবধান করেন৷ একই রিপোর্টে তার একটি বক্তব্যও রয়েছে, যেখানে তিনি বলছেন, ‘‘যখন সুপার বলতেছে নিয়ে আসো, তার মানে তো বোঝা যাচ্ছে, সে কী বলতেছে… আমার কি ক্ষমতা আছে যে, জেলের ভেতর থেকে আসামি আমি নিয়ে এসে… হ্যাঁ আমি তো অস্বীকার করছি না৷ আমাকে বলেছে বিধায় তাই আমি আনতে গেছি৷’’

৩.

এ ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন করোনাভাইরাসের কারণে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের সাথে দেখা-সাক্ষাতের স্বাভাবিক সব সুযোগ বন্ধ৷ বিশেষ অনুমতি দিতে হলে কেবল কারা মহাপরিদর্শক দিতে পারেন৷

৪.

আমি যতটুকু বুঝি, সিসি ক্যামেরা একটি তাৎক্ষণিক ও সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা৷ সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে কন্ট্রোল রুম থেকে নজরে রাখা যায়৷ সন্দেহজনক কিছু ঘটলে তখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়৷

খবরে প্রকাশিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আরো অনেক কিছু আছে, যা খবরের ভয়েস ওভারে আসেনি৷ এই ফটকে কারারক্ষী থেকে শুরু করে অনেককে মাস্কহীন অবস্থায় দেখা গেছে৷ সাধারণ পোশাকে আরো কয়েকজন মানুষ ঘুরছে, বের হচ্ছে৷ তাদেরও অনেকের মাস্ক নেই৷ প্রথমে তুষারের মাস্ক থাকলেও ওই নারীর সাথে সাক্ষাতের পর সেটি তিনি খুলে ফেলেছেন৷ করোনাভাইরাসের এই সময়ে অতি ঝুঁকিতে থাকা স্থানগুলোর একটি হচ্ছে কারাগার৷ বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে কয়েকগুণ বন্দি থাকার ফলে এখানে ঝুঁকি আরো বেশি৷ এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় এত মানুষ মাস্কহীন অবস্থায় অনিরাপদভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ কেউ কিছু বলছে না৷ ফটকে থাকা কারারক্ষীরা কিছু বলছে না, যারা সিসিটিভিতে এই ঘটনা দেখছেন, তারাও কিছু বলছে না৷ এ সব কিছু হয়ত এটাই প্রমাণ করে, সিসি ক্যামেরার সামনে যা ঘটছে-এটা ব্যতিক্রম কিছু নয়৷ বরং এগুলোতে এখানকার সবাই অভ্যস্ত৷

৫.

পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারাগারকে৷ একজন মানুষ যখন বিপথে চলে যায়, তখন তাকে নির্দিষ্ট একটা মেয়াদে নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে ফিরিয়ে আনতে হয় জীবনের স্রোতে৷ এরপর তাকে আবার সমাজে ফিরিয়ে দেয়া হয়৷ কারাগারকে এমনটাই ভাবা হয়৷

এর প্রতিফলন রয়েছে আমাদের কারা অধিদপ্তরের মিশনেও৷ সেখানে বলা হয়েছে, বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিত করা, কারাগারের কঠোর নিরাপত্তা ও বন্দিদের মাঝে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বন্দিদের সাথে মানবিক আচরণ করা, যথাযথভাবে তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা এবং আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও আইনজীবিদের সাথে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করা এবং একজন সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা৷

৬.

বাংলাদেশে কারাগারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অপরাধটি সম্ভবত ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঘটেছিল৷ সেদিন কারাগারে গিয়ে জাতীয় চার নেতাকে খুন করা হয়৷ উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি হওয়া এই মামলার দলিলপত্র বলছে, চারনেতাকে খুনের আগে এক জায়গায় নিয়ে আসার কাজটি করেছিলেন জেলখানার লোকজনই৷ সেদিন কয়েকজন সেনা সদস্য কারাগারে এসেছিল৷ তখনকার কারা মহাপরিদর্শক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলার পর জেলারকে বলেছিলেন, আর্মি অফিসাররা যা চায়, সেটা তোমরা কর৷

এরপর আর্মি অফিসাররা যা চেয়েছে সব হয়েছে জেলে৷ খুন হয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া জাতীয় চার নেতা৷

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যছবি: DW/M.M. Rahman

৭.

আমি জীবনে বহুবার ভেবেছি, কেন সেদিন কারা কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে যাওয়া সেনা সদস্যদের শক্ত ভাষায় বলে দিতে পারেননি, ‘কাউকে একত্রিত করতে হলে আদালতের নির্দেশ নিয়ে আসেন’৷ কেন বলতে পারেননি, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কাউকে ফায়ারিং স্কয়াডেও নেয়া যায়৷ তবে এর জন্য আদালতের রায় লাগে, যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা লাগে৷ সেগুলো না করে আপনারা এখানে কাউকে খুন করতে পারেন না৷ কেন কারা মহাপরিদর্শক প্রেডিডেন্টকে বলতে পারলেন না, ‘কারাগার নিরাপদ রাখা আমার দায়িত্ব৷ আমাকে আমার দায়িত্ব পালন করতে দিন৷’

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, সামরিক-আধা সামরিক বাহিনী তো প্রাণ দেয়৷ কারাগারের মতো নিরাপদ জায়গার রক্ষকরা কেন কারাগারকে নিরাপদ রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বের কথাটাও বলতে পারলেন না?

জাতীয় চার নেতা কোথায় আছেন, সেটা বাইরের কারো জানার কথা নয়৷ এমনকি কারা কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদেরকে লুকিয়েও রাখতে পারতো৷ তখন কি সেই সেনা সদস্যরা কারাগার দখল করে তারপর খুঁজে খুঁজে তাদের খুন করতো? হয়ত করতো৷ কিন্তু এমন সম্ভাবনাও আছে যে, এতটুকু দৃঢ়তা দেখাতে পারলে হয়ত সেই সময় বেঁচে যেতেন জাতীয় চার নেতা৷

৮.

অথবা তুষারের ঘটনায় আসি৷ এখন কারাগারে কারো সঙ্গে দেখা করতে কারা মহাপরিদর্শকের অনুমতি লাগে৷ কেন গেট সামলানোর দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীরা তুষারের সাক্ষাৎপ্রার্থী সেই নারীর কাছে কি কারা মহাপরিদর্শকের অনুমতিপত্র ছিল? তাহলে কেন তাকে প্রশ্নহীনভাবে ঢুকতে দিয়েছে? কেন কারারক্ষীরা বলেনি, এই গেট সামলানোর দায়িত্ব আমার৷ এখান দিয়ে ঢুকতে হলে কারামহাপরিদর্শকের দেয়া অনুমতিপত্র লাগবে৷ নয়ত আমি ঢুকতে দেবো না৷

এতটুকু মনোবল, নৈতিক বল সেখানে থাকা একজন ব্যক্তিও কেন দেখাতে পারলো না? নাকি সেখানকার পরিবেশটা আমরা এ রকম করে ফেলেছি যে, অনিয়ম দেখতে দেখতে সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে?

৯.

আমি কারাগারে এমন একটি পরিবেশ চাই, যেখানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আইন ভাঙতে বললে একজন দারোয়ানও সেটা চট করে বাস্তবায়ন করে ফেলবে না৷ সবার প্রাথমিক কর্তব্য লিখিত থাকবে৷ ঊর্ধ্বতন কেউ একজন দারোয়ানকে আইন ভাঙতে বললে তিনি কী করবেন-সেটাও লেখা থাকবে৷ এমন হতে পারে-সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আদেশ দিতে হবে৷ তাহলে আইন ভাঙতে বলার লোকও আস্তে আস্তে কমবে৷

প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এমন অবস্থা সৃষ্টি করতে হবে যাতে কেউ আইন ভাঙতে চাইলেও আগে তিনবার ভাববে৷

১০.

মানুষ সমাজেই পরিশুদ্ধ অবস্থায় থাকবে, দুর্নীতি করবে না, অন্যায় করবে না, অবিচার করবে না-এটা প্রত্যাশিত৷ তবে শেষ পর্যন্ত সেটা হয় না৷ তাই সমাজে কেউ যদি দুর্নীতি করে ফেলে, তাহলে তাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য নেয়া হয় কারাগারে৷

আমরা এখানে উল্টোচিত্র দেখছি৷ সমাজে যেসব কাজে দুর্নীতি নেই, কারাগারে সেখানেও দুর্নীতি চলে৷ স্বাভাবিক জীবনে একজন অসুস্থ ব্যক্তির ওষুধ কিনতে কাউকে বখরা দিতে হয় না৷ কিন্তু কারাগারে নাকি একটা প্যারাসিটামল পেতেও কাউকে না কাউকে বখরা দিতেই হবে৷ আপনি জামিন পেয়েছেন, কারামুক্তি পাবেন, সেখানেও দিতে হয় বখরা৷

অবশ্য কারাগারে কোথায় কোথায় বখরা দিতে হয়, এই আলাপ না করে কোন কোন কাজে টাকা লাগে না-সেই আলাপ করা যেতে পারে৷ যিনি জীবনে এক টাকা ঘুস দেননি, তাকেও নাকি কারাগারে গেলে ঘুস দিতে হয়৷

এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে একজন অপরাধীকে পরিশুদ্ধ করে সমাজে ফিরিয়ে দেয়ার কাজটি কীভাবে হবে? পরিশুদ্ধির জায়গা কারাগারে বন্দিকে যদি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দুর্নীতির মাঝ দিয়ে যেতে হয়, তাহলে পরিশুদ্ধির কাজটা হবে কীভাবে? যেখানে সমাজের দুর্নীতিবাজদের পরিশুদ্ধ করতে কারাগারে নেয়া হয়, সেখানে কারাগারের দুর্নীতিবাজদের কোথায় নেয়া হবে?

১১.

ফিরে আসি তুষার প্রসঙ্গে৷ তুষারের ওই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে না এলে কি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হতো? অথবা সংবাদ মাধ্যমে এলেও এতটা আলোচিত না হলে কি কর্তৃপক্ষ এমন করে নড়েচড়ে বসতেন? ব্যক্তিটা যদি আলোচিত তুষার না হয়ে কোনো অজানা-অচেনা ব্যক্তি হতো? তাহলে সংবাদ মাধ্যম কতটা কাভারেজ দিতো? মানুষের প্রতিক্রিয়া কী হতো? অতীতে এরকম যত ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়ছে?

সংবাদ মাধ্যমের খবর বলছে, কারাগার থেকে আদালতে আসা-যাওয়ার পথে আসামিদের বাসায় যাওয়ার ঘটনাও নিকট অতীতে অনেক আছে৷ তাদের দুইজন পিতাও হয়েছেন৷

বন্দি জীবন চলাকালে এভাবে অবৈধ সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে বন্দি অবস্থায় বাসায় যাওয়ার ঘটনা নিরাপত্তার জন্য কতটা হুমকি হতে উঠতে পারে-আমরা কি সেটা ভেবে দেখেছি?

কারাগারের দুর্নীতির কারণে দুটি ঘটনা ঘটছে, একদিকে টাকার জোরে তুষারদের মতো অনেকে নিচ্ছে অনৈতিক সুবিধা৷ অন্যদিকে দুর্নীতির এই স্রোতে সমস্যায় পড়ছে সেই মানুষেরা, যাদের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়৷ তারা দুর্নীতিবাজদের চাহিদা পূরণ করতে  গিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়ে৷

সুলাইমান নিলয়
সুলাইমান নিলয়, সাংবাদিকছবি: privat

কারাগারের ভেতর-বাহিরে নানা বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনার এই লগ্নে আমি চাই, কারাগারগুলোতে এখন অন্তত নতুন যাত্রা শুরু করুক৷ ভাতের কষ্ট, ঘুমানোর কষ্ট দূর হয়ে যাক৷ কারাগারে একটু ভালো খাবার, একটু ভালো থাকার ব্যবস্থা সরকারই করুক৷ বন্দিদের মৌলিক অধিকার সরকারই নিশ্চিত করুক৷ খাওয়া-পরার ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হোক, যেন কাউকে দুর্নীতিবাজদের কাছে যেতে না হয়৷ সাক্ষাতের আবেদন অনলাইনে নিয়ে আসা হোক৷ কোনো আবেদন মঞ্জুর না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে যেন জবাবদিহি করা হয়৷

অশিক্ষিত অবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদে  কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি শিক্ষিত হয়ে বের হোক৷ অদক্ষ ব্যক্তি ফিরুক নিপুন দক্ষ হয়ে৷  পার্থক্যটা এতটাই বেশি হোক, যেন তাকে নিয়ে গর্ব করা যায়৷ উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডে ভরে যাক আমাদের কারাগারগুলো৷

একজন স্বাধীন মানুষের চলাচলের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাকে বিচ্ছিন্ন জীবন যাপনে রাখা হয়েছে-এটাই হোক তার একমাত্র শাস্তি৷ কারণ, মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার চেয়ে বড় সাজা আর হতে পারে না৷

কারাগারে সংঘটিত ছোটখাট সব অপরাধও বন্ধ হোক৷ প্রতি বছর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নেয়া হোক৷ কারাগারের অপরাধী সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি এড়াতে পারলেও যেন পার পেয়ে না যায়, পাকাপাকিভাবে এমন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি করা হোক৷

দুর্নীতিবিরোধী নতুন লড়াই শুরু হোক কারাগার থেকে৷ কারাগারগুলো পরিণত হোক স্বপ্নের কারাগারে৷