1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুনদিল্লিতে নাগাল্যান্ড শান্তি আলোচনা আবার শুরু

২ মার্চ ২০১০

নাগাল্যান্ড ইস্যুর অচলাবস্থা কাটাতে মঙ্গলবার নতুনদিল্লিতে বসে বিচ্ছিন্নতাবাদি নাগা সংগঠন এনএসসিএন (আই এম)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক৷ সার্বভৌমিত্বের দাবি ছাড়া অন্য সব দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷

https://p.dw.com/p/MHms
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: AP

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নাগাল্যান্ড জাতীয় সোসালিস্ট কাউন্সিল সংক্ষেপে এনএসসিএন (আই এম)-এর জেনারেল সেক্রেটারি টি মুইভা এবং চেয়ারম্যান আইসাক চিসি স্যু মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ দূত আর.এস পান্ডের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে মিলিত হন৷ জানা গেছে, শান্তি সূত্র হিসেবে এনএসসিএনের ৩১ দফা দাবি সনদের মধ্যে দুটি ছাড়া অন্যান্য দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন মনমোহন সিং সরকার৷ কিন্ত দেশের সার্বভৌমিত্বের প্রশ্নে নয়৷ বলা হয়েছে, বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের কথা বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে৷ অন্যদিকে নাগা সংগঠনগুলির দাবি আসাম, মনিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের নাগা অধ্যুষিত ১কোটি ২০লাখ নাগা অধিবাসি নিয়ে বৃহত্তর স্বাধীন নাগাল্যান্ড৷ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রেখে৷

উল্লেখ্য, ১৯৫০ সাল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নাগা সংগঠনগুলি এই দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে৷ নিহত হয় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ৷ ১৯৯৭-এ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয় তারা সমাধান সূত্র তথা শান্তি আলোচনা শুরু করা সাপেক্ষে৷ এপর্যন্ত ৬০টি বৈঠক বসে, কিন্ত বরফ গলেনি৷ গত বছর বৈঠক হয় সুইত্জারল্যান্ডে৷

পর্যবেক্ষকদের মতে, খাপলাং গোষ্ঠীর মত অন্যসব নাগা গোষ্ঠীগুলির ঐকমত্য ছাড়া নাগাল্যান্ডে স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়৷ এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ডয়েচে ভেলেকে বলেন, সরকার গোর্খা পার্বত্য পরিষদের মত একটা মডেল নাগাল্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারে৷ তবে একটা কথা মনে রাখা জরুরি, রাজনৈতিক স্বাধীনতা মানে কিন্ত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নয়৷ তাই নাগা সুশীল সমাজ সে রকম স্বাধীনতা চাইছেনা৷ কারণ অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী না হলে সে স্বাধীনতা হবে ভঙ্গুর৷

প্রতিবেদক : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক