নতুনদিল্লির অটো-এক্সপো ২০১০
৭ জানুয়ারি ২০১০অটো-এক্সপো ২০১০ এখন জমজমাট৷ বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে বিখ্যাত সব দেশি বিদেশি মোটরগাড়ি কোম্পানিগুলি হাজির করেছে তাদের এক ঝাঁক ছোট বড় ও মাঝারি সাইজের চোখ ঝলসানো আধুনিকতম মডেল৷ পাশাপাশি রেখেছে ভবিষ্যতের স্বপ্নের গাড়ি যাকে বলে কনসেপ্ট কার৷
দর্শক তথা সম্ভাব্য ক্রেতাদের উপচানো ভীড় দেখে মনেই হয়না ভারত এক উন্নয়নমুখী দেশ, এখনও যার মন্দাবস্থা কাটেনি পুরোপুরি৷ এবারের অটো-এক্সপোর সিংহভাগ জুড়ে আছে জার্মানির মোটর গাড়ি ও তার যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থাগুলি৷ রয়েছে মার্সেডিজ বেনস, ফোকসভাগেন, আউডি, বিএমডবল্যু৷ এছাড়া রয়েছে জার্মানির যন্ত্রাংশ নির্মাতা ৩৫টি কোম্পানি৷ ফোকসভাগেন অটো-এক্সপোতে বাজারে ছেড়েছে তার ছোট গাড়ি পোলোর তিনটি মডেল৷ ভারতের উপযোগী হ্যাচব্যাক পোলো আধুনিক সব বৈশিষ্ট্যে সুসজ্জিত, অথচ দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে৷ ভারতে ছোট গাড়ির চাহিদা এখন তুঙ্গে৷ দেশি বিদেশি মোটর গাড়ি কোম্পানিগুলি তাই ছোট গাড়ির বাজার ধরতে তত্পর৷
গতকাল জার্মান প্যাভিলিয়ানের দ্বারোদ্ঘাটন করেন জার্মান অটো শিল্প সংস্থার ম্যানেজিং ডায়রেক্টর ক্লাউস ব্রাউনিগ ও ভারতে জার্মান রাষ্ট্রদূত টোমাস মাতসেক প্রদীপ জ্বালিয়ে৷ ব্রাউনিগ তাঁর ভাষণে বলেন, বিশ্বের মন্দাবস্থা সত্ত্বেও ভারতের মোটর গাড়ির বাজার ক্রমবর্ধমান৷ বছরে বাড়ছে ১৭ শতাংশ হারে৷ এই চাহিদা লক্ষ্য করে জার্মানির মার্সেডিজ বেনস পুনেতে কারখানা বসিয়ে তৈরি করছে সিই এবং এস সিরিজের মডেল৷ মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে তৈরি হচ্ছে আউডির এ-৬ সিরিজের গাড়ি৷ বিএমডবল্যু তৈরি করছে চেন্নাই কারখানায় থ্রি ও ফাইভ সিরিজের গাড়ি৷ আর ফোকসভাগেনের পুণে কারখানায় তৈরি হচ্ছে পোলো৷ উত্পাদন ক্ষমতা বছরে দেড় লাখ৷ বিলাসবহুল গাড়ির বাজারে জার্মানি এখন এক নম্বরে৷
পাশাপাশি জাপান, ইটালি, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়াও বসে নেই৷ বসে নেই দেশের টাটা মোটরস৷ তারাও হাজির করেছে নতুন আরামদায়ক ঝাঁ চকচকে নবতম মডেল, হেভি ডিউটি ট্রাক ও বিলাসবহুল বাস৷ পেছনে নেই দেশবিদেশের মোটর সাইকেল ও স্কুটার কোম্পানিগুলিও৷ ব্রিটেন এনেছে তার ঐতিহ্যময় হার্লে ডেভিডসন মোটর সাইকেল যার একটির দাম প্রায় ১০ লাখের ওপর৷
ভারতে প্রতিযোগিতার মোকাবিলা সম্পর্কে জার্মান অটো শিল্প সমিতির প্রধান ব্রাউনিগ ডয়চে ভেলেকে বলেন, জার্মান প্রোডাক্ট্রের গুণমান ও পরিষেবা সবাইকে টেক্কা দেবে৷ পরিবেশ দূষণের দিকে তাকিয়ে গ্রীন টেকনোলজি অটো-এক্সপোর আপ্তবাক্য৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক