ইসরায়েলের মিউজিয়ামে থাকবে হিটলারের টুপি
২৫ নভেম্বর ২০১৯২০ নভেম্বর জার্মানির মিউনিখ শহরের হারমান হিস্টোরিকায় নিলাম করা হয় নাৎসি পার্টি ও তৎকালীন জার্মান রাষ্ট্রপ্রধান আডল্ফ হিটলারের একটি ‘টপহ্যাট'৷ কেতাদুরস্ত টুপিটি ৫০ হাজার ইউরো (৪৭ লাখ বাংলাদেশি টাকা) দিয়ে কেনেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী আবদাল্লাহ চাটিলা৷
একটি ইমেলে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘হিটলার যে অসম্ভব বেদনাদায়ক ইতিহাসের অঙ্গ, সেই সময়ের জিনিসপত্র যাতে ভুল হাতে না পৌঁছায়, সেটা অত্যন্ত জরুরি৷'' সুইডারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ৪৫ বছর বয়সি এই ব্যবসায়ীর নিজস্ব হিরার ব্যবসা রয়েছে৷
একই দিনে হিটলারের এই টুপি ছাড়াও নিলামে উঠেছিল নাৎসি আমলের আরো বেশ কয়েকটি জিনিস৷ কিন্তু এই টুপি ছাড়া বাকি কিছুই চাটিলা নিলামে কিনতে পারেননি৷ উল্লেখযোগ্য জিনিসের মধ্যে ছিল হিটলারের আত্মজীবনী ‘মাইন কাম্পফ’ বইটির একটি কপি, যা নাৎসি নেতা হারমান গ্যোরিঙের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নেয়া৷ এই বইটি বিক্রি হয় এক লাখ ত্রিশ হাজার ইউরোয় (এক কোটি বাইশ লাখ বাংলাদেশি টাকা)৷
কেন নাৎসি স্মারক কেনার আগ্রহ?
হিটলারের টুপিটি চাটিলা নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহের জন্য কেনেননি৷ বরং, তা দান করেছেন ইসরায়েলের কেরেন হায়েসোড সংস্থাকে, যাতে করে টুপিটি সযত্নে ইসরায়েলের কোনো হলোকস্ট মিউজিয়ামে রাখা হয়৷ চাটিলা বলেন, ‘‘এমন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কোনো মিউজিয়ামে থাকা উচিত৷ অন্য কারো হাতে যাওয়ার চেয়ে তা ভালো৷’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ে ইউরোপে ইহুদিবিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদ বাড়ছে৷ আমার যা সামর্থ্য রয়েছে, তা দিয়ে আমি এই প্রবণতার বিরুদ্ধে একটা উদাহরণ তৈরি করতে চাই৷''
ইউরোপিয়ান ইহুদি সংঘের প্রধান ব়্যাবাই মেনাখেম মারগোলিন বলেন যে, চাটিলার এই উদাহরণ আসলেই তাঁর উদার ও সংবেদনশীল মনের পরিচয় দেয়৷ কিন্তু নাৎসি আমলের সাথে সম্পর্কিত কোনো জিনিসের আকাশছোঁয়া মূল্যে নিলাম হওয়ার তিনি বিরোধিতা করেন৷ মারগোলিনের মতে, এই জিনিসগুলির ‘‘গায়ে রক্ত লেগে আছে, যা জার্মানির মাটিতে বিক্রি করা অনৈতিক''৷
ওয়েসলি রান/এসএস