গৃহকর্মীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী
২১ অক্টোবর ২০১৫তাই গৃহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, আইএলও-র যে কনভেনশন আছে তা অনুসমর্থন করছে না বাংলাদেশ৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ'-এর সহকারি নির্বাহী পরিচালক সুলতান উদ্দিন আহমেদ৷
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশেরই উচিত ছিল সবার আগে কনভেনশনে সই করে অন্য দেশগুলোকে তাতে স্বাক্ষর করতে অনুরোধ করা৷ কারণ বাংলাদেশ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের একটি যাদের দেশের নাগরিকরা অন্য দেশে যায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে৷ যেমন বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগেই এখন হংকং ও সৌদি আরবে গৃহকর্মী যাচ্ছে৷ ঐ সব দেশকে অনুরোধ করে যদি আইএলও কনভেনশনে সই করানো যেত, তাহলে বাংলাদেশি নাগরিকদেরই ভালো হতো৷ কিন্তু বাংলাদেশের ভয়, বেশি চাপ দিলে হয়ত শ্রম বাজার হারাতে হতে পারে৷ আসলে সরকারের কাছে নিজ দেশের নাগরিকদের মর্যাদার চেয়েও কাজ পাওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার দিকে নজর থাকে সবসময়৷''
সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, গৃহকর্মীরা হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী৷ তাই তাদের অধিকার রক্ষার জন্য কোনো আইন হচ্ছে না৷ ‘‘আইন প্রণয়নের কথা হচ্ছে অনেকদিন ধরে৷ কিন্তু হচ্ছে না৷ কারণ গৃহকর্মীদের মতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পক্ষে আইন প্রণয়ন করতে সরকারকে চাপ দেয়া সম্ভব হয় না৷ আর আমাদের দেশে চাপ না দিলে কোনো কিছু হয় না'', বলেন তিনি৷
বাংলাদেশের সমাজে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি অবজ্ঞা, ক্ষোভ সবসময় থেকে থাকে উল্লেখ করে আহমেদ বলেন, ‘‘গৃহকর্মীদের মারাটা অনেকে স্বাভাবিক মনে করে৷ নির্যাতনের একটা পর্যায় পর্যন্ত তারা এটাকে নির্যাতন মনেই করে না৷'' এছাড়া গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গ্রাম থেকে যেসব মেয়ে শহরে আসে তারা অসহায় হওয়ার কারণেও তাদের উপর নির্যাতন করা হয়৷
মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশি গৃহকর্মীরা কেমন আছেন? আপনার কাছে কোন তথ্য থাকলে লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ