1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাগাসাকি’তে বোমা হামলার ৬৬ বছরপূর্তি

৯ আগস্ট ২০১১

পরমাণু জ্বালানি বর্জনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে জাপানের নাগাসাকি শহর পালন করলো আনবিক বোমা হামলার ৬৬ বছর৷ হিরোশিমার পর নাগাসাকি, আনবিক বোমা হামলার শিকার এই দুই শহর এখনও বহন করছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মর্মান্তিক স্মৃতি৷

https://p.dw.com/p/12DJc
A giant column of smoke rises more than 60,000 feet into the air, after the second atomic bomb ever used in warfare explodes over the Japanese port town of Nagasaki, on August 9, 1945. Dropped by the U.S. Army Air Forces B-29 plane "Bockscar," the bomb killed more than 70,000 people instantly, with ten thousands dying later from effects of the radioactive fallout. (AP Photo)
ছবি: AP

হিরোশিমায় লিটল বয়'এর বিভীষিকাময় আঘাতের প্রাথমিক ধাক্কা তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি জাপানের মানুষ৷ গোট বিশ্ববাসী ক্ষণে ক্ষণে শিউরে উঠছে হিরোশিমায় আনবিক বোমা হামলার পাশবিকতার কথা মনে করে৷ এর মধ্যে পার হয়ে গেল আরও দুটি দিন৷ ৯ আগস্ট, ১৯৪৫৷ জাপানের অন্যতম বন্দর নগরী নাগাসাকি৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার মিত্র বাহিনীর বিমান হামলার শিকার হয়েছে নগরীটি৷ সেদিনও বিমান হামলার সাইরেন শুনে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটে যায় হাজার হাজার জাপানি৷ কিন্তু চোখের সামনে যে দৃশ্য তারা দেখে, তার দুঃসহ স্মৃতি তাদের বয়ে নিয়ে যেতে হয় মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত৷

মার্কিন বাহিনীর প্রাথমিক টার্গেট অবশ্য নাগাসাকি ছিল না৷ ছিল কোকুরা শহর৷ কিন্তু সেখানের আকাশ মেঘলা থাকায় ‘বকস্কার' নামে বি টোয়েন্টি নাইন বোমারু বিমানটি নাগাসাকিতেই আনবিক বোমাটি ফেলে৷ ভূমি থেকে প্রায় ২৯ হাজার ফুট ওপর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রায় ১১ ফিট লম্বা বোমা ‘ফ্যাট ম্যান'৷ ২০ হাজার টন বিস্ফোরক ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্যাট ম্যান কিছুক্ষণের মধ্যেই আঘাত হানে নাগাসাকির বুকে৷ আনবিক বোমার প্রচণ্ড আঘাতে ঝলসে যায় সব কিছু৷

Flash-Galerie 65. Jahrestag Hiroshima

সেই বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া একজন সাদাকো মোরিয়ামা জানান, তিনি দেখেছেন মানুষজনকে রাস্তায় দৌঁড়তে৷ তাদের শরীর থেকে মাংস খসে খসে পড়ছিল৷ পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় হিরোশিমার চেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল নাগাসাকিতে৷ ১৯৫৩ সালে মার্কিন কর্তৃপক্ষ হামলায় ৩৫ হাজার নিহতের কথা জানায়৷ তবে পরবর্তীতে নাগাসাকি কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা ৮৭ হাজার বলে দাবি করে৷

সেই দিনটি আজও স্মরণ করে চলেছে জাপানের মানুষ৷ আনবিক বোমার বিপর্যয়ের স্মৃতি তাদের মনে আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে সম্প্রতি ভূমিকম্প ও সুনামির পরে, হালের ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর৷ তাই নাগাসাকির মেয়র তোমিশা তাউয়ে বললেন, পরমাণু জ্বালানি ছেড়ে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির দিকে এগুতে হবে৷ আনবিক বোমা হামলার শিকার মানুষগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি আবারও উচ্চারণ করলেন ‘নো মোর হিবাকুশা'৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য