নানা গুণের গ্রীষ্মের ফল তরমুজ
গ্রীষ্মকালে তরমুজ পাওয়া যায় প্রায় সর্বোত্র৷ এই ফলের রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা ভিটামিন, পটাশিয়াম ও মিনারেল৷ তরমুজের প্রায় ৯০ ভাগ পানি হওয়ায়, গরমকালে শরীরের পানি শূন্যতাও দূর করে এটি৷ তরমুজের গুণাগুণ নিয়েই এ ছবিঘর৷
তরমুজ ওজন কমায়
বেশি পানি এবং অল্প ক্যালরির এই ফলটি ওজন কমাতে সহায়তা করে৷ জার্মানিতে স্বাস্থ্য সচেতন কিছু মানুষ গ্রীষ্মকালে ছিমছাম সুন্দর থাকতে তরমুজের ‘ডায়েট’ করে থাকেন৷ অর্থাৎ একনাগাড়ে কয়েকদিন দিনের প্রধান খাবারগুলোর বদলে তরমুজ খান এবং পানীয় হিসেবে তরমুজের রস পান করেন৷ তরমুজে ভিটামিন, পুষ্টিগুণ ও প্রয়োজনীয় মিনারেল থাকায় এটা খেলে শরীরে কোনো কিছুর ঘাটতি তো হয়ই না, ওজনও কমে৷
ত্বকের সৌন্দর্য
তরমুজে রয়েছে যথেষ্ট ভিটামিন ‘সি’, যা ত্বককে স্নিগ্ধ ও সজীব রাখে এবং গ্রীষ্মকালীন ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও দূরে রাখে ত্বককে৷ তরমুজ খাওয়া, রস পান করা ছাড়াও প্রচণ্ড গরমে ‘স্লাইস’ করা বা কেটে রাখা তরমুজ মুখমণ্ডলের ওপর কিছুক্ষণ দিয়ে রাখলে, ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়৷ আর তখন ধীরে ধীরে ‘স্ট্রেস’, মানে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর হয়৷
তরমুজ ক্যানসারের ঝুঁকি কামায়
নিয়মিত তরমুজ খেলে, এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপেন নামের উপাদান প্রস্টেট ক্যানসার, অন্ত্রের ক্যানসারসহ অন্যান্য নানা ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়৷ তাছাড়াও তরমুজ যৌন ক্ষমতা বাড়ায়৷
কিডনি ভালো রাখতে তরমুজ
পানি সমৃদ্ধ ফল তরমুজ কিডনি ও মুত্রথলিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে৷ তাই যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে বা যাঁদের নেই, সবার জন্যই তরমুজ একটি উপকারী ফল৷ এছাড়া তরমুজ যেহেতু শুধু গ্রীষ্মলেই পাওয়া যায়, তাই যতটা সম্ভব তখন এ ফল খেয়ে নেয়া উচিত৷ আসলে মৌসুমী ফল সময়মতো খেলে শীতকালেও সুস্থ থাকা সম্ভব৷
তারুণ্য ধরে রাখে
তরমুজে থাকা নানা উপাদান বার্ধক্যকে দেরিতে আসতে সহায়তা করে৷ তরমুজে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রাখে৷ শুধু তাই নয়, তরমুজ স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়৷ বলা বাহুল্য, গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন জায়গায়, রেস্তোরাঁয় খাবার টেবিল সাজাতে ব্যবহার করা হয় তরমুজ৷
চোখের জন্য তরমুজ
কাটা তরমুজের মিষ্টি ও লোভনীয় চেহারা শুধু খাওয়ার আগ্রহই বাড়িয়ে দেয় না, তরমুজে থাকা লাল রঙের টাক্যারোটিন চোখকেও ভালো রাখে৷ তবে অন্যান্য রঙীন ফল ও সবজিতে থাকা বিটাক্যারোটিনও চোখকে নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে৷