1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাম ‘বেঙ্গলস’, তবে ক্লাব অ্যামেরিকার

২৯ আগস্ট ২০১০

অ্যামেরিকান ফুটবল লিগে খেলছে বেঙ্গলস৷ ভিরমি খাওয়ার মতোই দশা৷ কারণ অ্যামেরিকান ফুটবল তো আর আমাদের মতো ফুটবল নয়৷ হাত-পা-মাথা, দেহের সব অঙ্গ দিয়েই খেলতে হয় এই খেলা৷ তাহলে অ্যামেরিকার সিনসিনাটিতে এই ক্লাবটি এলো কোথা থেকে?

https://p.dw.com/p/Oyf5
হেলমেট দেখেই চেনা যায় সিনসিনাটি বেঙ্গলস' এর খেলোয়াড়দেরছবি: AP

সিনসিনাটি, অ্যামেরিকান ওহাইয়ো রাজ্যের একটি শহর৷ সেই শহরেরই ক্লাব বেঙ্গল, পুরো নাম ‘সিনসিনাটি বেঙ্গলস'৷ নাম ধরে যদি কেউ যদি মনে করেন, সুদূর অতীতে কোনো বাঙালি এসে এই ক্লাবটি গড়ে দিয়ে গেছে, তাহলে বড় ভুল করবেন৷ এই ভুল না করতে গিয়ে যদি কেউ ভাবেন, ধুর ছাই! বাংলার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কই নেই, তাহলেও ঠিক কাজটি হবে না৷ দূরান্বয়ী হলেও একটা সম্পর্ক কিন্তু আছে৷ আর সেই সেতুবন্ধন তৈরি করে দিয়েছে বাঘ৷ বেঙ্গল টাইগারের নামেই এই ক্লাবটির নাম হয়েছে৷

অ্যামেরিকাকে ইন্ডিয়া বা ভারত ভেবে সেখানে পা রেখেছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস৷ তবে কোনো বেঙ্গল টাইগার সেই রকম ভুল করে অ্যাটলান্টিকের ওপারকে আবাস হিসেবে বেছে নেয়নি৷ নিয়েছে বাধ্য হয়ে৷ সিনসিনাটি শহরের চিড়িয়াখানাটির বেশ নাম-ডাক আছে৷ আর তার শোভা বাড়িয়ে তোলে একটি বাঘ, বেঙ্গল টাইগার৷ আর তা থেকেই এই নাম৷

Footballmannschaft Cincinnati Bengals
বাঘের মতই ক্ষিপ্র বেঙ্গলসের খেলোয়াড়রাছবি: AP

সিনসিনাটির ক্লাবটির বয়স ৪৩ বছর৷ তখন থেকেই এর নাম বেঙ্গল৷ তবে এই নামের পেছনে আরো ঘটনা আছে৷ একই নামে আরেকটি ক্লাবও ছিল সেখানে৷ সেই সম্পর্কে জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে আরো পেছনে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও আগে৷ ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত তিনটি অ্যামেরিকান লিগে খেলেছিল বেঙ্গল নামে আরেকটি দল, অবশ্য তা টিকে থাকেনি৷ ১৯৬৭ সালে নতুন দল গড়ার সময় পল ব্রাউনের মনে ধরে বেঙ্গল নামটি, হয়ে গেল নাম৷ অ্যামেরিকান ফুটবলে পল ছিলেন হোমরা-চোমরাদের একজন৷ কোচিংয়ে ছিলেন বহুদিন৷ লিগ চালুর ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান আছে৷

‘সিনসিনাটি বেঙ্গলস' দলের লোগো আর জার্সিতেও বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ৷ কমলা আর কালো রঙের৷ অ্যামেরিকান খেলা দেখলে মনে হয় রেসলিং, ফুটবল, হ্যান্ডবল- সব জোড়া লাগিয়েই যেন তা খেলা হয়৷ তাই এটি খেলতে হেলমেটও লাগে৷ আর তাতেও কমলা-কালো ডোরাকাটা দাগ৷ ১৯৬৮ সাল থেকে খেললেও এখন পর্যন্ত লিগ চ্যাম্পিয়ানশিপ অধরাই থেকে গেছে সিনসিনাটি বেঙ্গলের কাছে৷ তবে কনফারেন্স চ্যাম্পিয়ানশিপ জিতেছে দু'বার, ১৯৮১ আর ১৯৮৮ সালে৷ আঞ্চলিক শিরোপা জিতেছে সাতবার৷ সব মিলিয়ে সাফল্যের পাল্লা খুব হালকা নয়৷

পল ব্রাউন গত হয়েছেন ১৯৯১ সালে৷ পলের পর তাঁর ছেলে মাইক ব্রাউন কাঁধে তুলে নিয়েছেন ক্লাবটি চালানোর দায়িত্ব৷ পলের নামে একটি স্টেডিয়াম আছে এখন সিনসিনাটিতে৷ সেটাই বেঙ্গলস'এর হোম গ্রাউন্ড৷ বেঙ্গলের খেলা হলেই ভরে যায় স্টেডিয়াম, মুখর হয়ে ওঠে করতালিতে৷ হোক না অ্যামেরিকান ক্লাব, হোক না দর্শকরা সবাই অ্যামেরিকান৷ তবুও বেঙ্গলের নামে তো পড়ে৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন