নাম মনে রাখা কঠিন নয়!
১২ জানুয়ারি ২০১৬কিছুকাল আগে বরিস কনরাড নতুন বিশ্বরেকর্ড করেছেন৷ মাত্র ১৫ মিনিটে তিনি ২০১টি নাম মুখস্থ করেছিলেন৷
স্মৃতিশক্তি উন্নতির সেরা উপায় জানতে জার্মানির মস্তিষ্ক বিজ্ঞানী বরিস কনরাড-এর মতো বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘ছবির উপর ভিত্তি করে নাম মনে রাখা যায়৷ প্রত্যেক নামের জন্য আমার মনে মানানসই ছবি রয়েছে৷ নাম টোমাস হলে টমেটোর কথা ভাবতে পারেন৷ মনে মানুষটার সঙ্গে টমেটোর ছবি গেঁথে রাখতে পারেন৷ যেমন ভেবে নিন, টোমাস কীভাবে টমেটোয় কামড় দিচ্ছে৷''
কিছু নাম অবশ্য মেমারি ট্রেনারদের পক্ষেও মনে রাখা কঠিন, বিশেষ করে বিদেশি নাম হলে৷ তবে বরিস মনে করেন, ‘‘কঠিন নামের ক্ষেত্রেও একই কায়দা কাজে লাগাতে হয়৷ হয়ত একটার বদলে একাধিক ছবি লাগতে পারে৷ গোটা নামের বদলে এক একটা সিলেবল-এর জন্যও আলাদা ছবি ভাবা যেতে পারে৷ সেগুলির সঙ্গে কোনো চেনা শব্দের মিল থাকলেই যথেষ্ট৷ আসলে নাম খুঁজে পেতে ছবি সাইনবোর্ডের মতো কাজ করে৷''
পরীক্ষা আরও কঠিন করে তুলতে স্বেচ্ছাসেবিরা নিজেদের জায়গাও পরিবর্তন করেন৷ কিন্তু কনরাড তাতে মোটেই দমে যাননি৷ ছবি ও সিলেবল সাজিয়ে তিনি ঠিকই নামগুলি মনে রেখেছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘স্মৃতিভাণ্ডারের ক্ষমতার সীমা কী, তা বলা অসম্ভব৷ কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কের মতো কাজ করে না, যাতে হয়ত ৬ টেরাবাইট জায়গা রয়েছে৷ এক না এক দিন ভরে যাবে৷ অন্যদিকে মস্তিষ্কে তথ্য সংহত রাখা হয়৷''
ডেটা গ্লাস-এর মতো ডিভাইস ব্যবহার করে স্মৃতিশক্তির ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায় কিনা, স্নায়ুবিজ্ঞানী হিসেবে কনরাড এবার সেই প্রশ্ন তুলছেন৷ আসল ওয়ে-স্টেশনের সঙ্গে ভার্চুয়াল ছবি জুড়ে আরও সহজে তথ্য মনে রাখা যায়৷ সেভাবে ডেটা গ্লাস দিয়ে সরাসরি শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে৷ এটা একটা অসাধারণ চ্যালেঞ্জ৷