নারায়ণগঞ্জ অগ্নিকাণ্ড: কারখানা মালিকসহ আটজন গ্রেপ্তার
১০ জুলাই ২০২১বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা৷ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷
এর আগে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হাসেমসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবুল হাসেম ছাড়া তার চার ছেলেও রয়েছেন৷ তারা হলেন: হাসীব বিন হাসেম (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩) ও তানজিম ইব্রাহীম (২১)৷ তারা সবাই কোম্পানিটির পরিচালক৷ এছাড়াও হাসেম ফুডসের উপমহাব্যবস্থাপক মামনুর রশীদ, প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২সহ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শনিবার দুপুরে রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কাছে আটজনকে আটকের কথা বলেছেন৷ সেসময় তিনি তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি৷
মামলার আগে সকালেই পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, কারখানা সংশ্লিষ্টরা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন৷
এদিকে সজীব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসেম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর দায় তার নয় বলে দাবি করেন৷ অগ্নিকাণ্ডের পর শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘এই কারখানা কম্পাউন্ডে আমরা ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি৷ দুই হাজারের বেশি শ্রমিকের সেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে৷ নিয়মকানুন মেনেই আমরা ব্যবসা করছি৷ কিন্তু শেষ জীবনে এসে বড় পরীক্ষার মুখে ফেলে দিল এই অগ্নিকাণ্ড৷''
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস কারখানায় সিজান জুস, নসিলা, ট্যাং, কুলসন ম্যাকারনি, বোর্নভিটার মতো জনপ্রিয় সব খাদ্যপণ্য তৈরি হতো৷ সিজান, সজীব, কুলসন, নসিলাসহ ১১টি ব্র্যান্ড নামে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রয়েছে এই শিল্প গ্রুপটির৷
এফএস/আরআর (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)