নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট শেষ
১৬ জানুয়ারি ২০২২কোথাও কোথাও আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জটিলতার কারণে ভোটগ্রহণে ধীরগতি দেখা দিলেও অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি৷
কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, আঙ্গুলের ছাপ না মেলা এবং বয়স্কদের ইভিএম বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় নির্বাচনে কোথাও কোথাও ভোট নিতে বিলম্ব হয়েছে৷ তাতে ভোটারদের লাইনে অপেক্ষার প্রহরও দীর্ঘ হয়েছে৷
এর আগে শিশুবাগ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী৷ তখন ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটদানে ধীর গতির খবর পাওয়ার কথা বলেছেন তিনি৷
আইভী বলেন, ‘‘খবর পাচ্ছি স্লো ভোট হচ্ছে৷ ৫, ১৭, ১৮, ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচুর মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন৷ এ ছাড়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলিতে একটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার খবর পেয়েছি৷ পরে তারা জানিয়েছে, ঠিক করছে৷''
সকালে নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি কোথাও কোথাও ভোটারের উপস্থিতি কম দেখে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘ইভিএম-ভীতির কারণে' হয়ত মানুষ কম।
মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নারায়ণগঞ্জ সিটির তৃতীয় এই নির্বাচনে৷ তাতে প্রত্যেক ভোটারকে তিনটি ভোট দিতে হচ্ছে।
দুপুর পর্যন্ত কোনো কোনো বুথে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, "কোনো কোনো বুথে নারী ও বয়ষ্কদের কারণে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে৷''
এদিকে বেলা ১২টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখলাম, কথা বললাম। চার ঘণ্টায় ভালো ভোট কাস্ট হচ্ছে। ভোটারের উপস্থিতিও ভালো রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘কোথাও বেশি, কোথাও কম ভোট পড়েছে৷ সকালের দিকে কয়েকটি কেন্দ্রে ধীরগতি দেখা গেছে৷ কোথাও কোনো মেশিন ডিস্টার্ব করেছে, সাময়িক কিছু সমস্যা ঘটলেও টেকনিক্যাল পার্সনরা দ্রুত সেরে নিচ্ছে৷ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রয়েছে, কোনো গোলযোগ নেই। উৎসবমুখর ভোট হচ্ছে৷''
এফএস/জেডএ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)