নারায়ণগঞ্জে সেনা মোতায়েন না করার ব্যাখ্যা চায় নির্বাচন কমিশন
৫ নভেম্বর ২০১১নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন শেষ হলেও শেষ হয়নি সেনা মোতয়েন না করা নিয়ে বিতর্ক৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন আগে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে এমন কিছু হয়নি যে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন ছিল৷ আর তা প্রমাণ হয়েছে সেনাবাহিনী ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার মধ্য দিয়ে৷ তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া হয়তো আশা করেছিলেন সেনাবাহিনী তাদের জিতিয়ে দেবে৷ একদিন পর প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷ তিনি দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে৷
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করে প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ই সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন৷ এজন্য তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে৷ তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেনা৷ আর নির্বাচন কমিশনও সরকারের আজ্ঞাবহ৷
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার কারণ জানতে চেয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার বরারবর এই চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ গত ১৬ই অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনের দু'দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনের জন্য বলেছিল৷ কিন্তু কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ৩০শে অক্টোবরের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়নি৷ নির্বাচন কমিশনকে অন্ধকারে রেখে কেন সেনা মোতায়েন করা হলনা তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন৷
জানা গেছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন তাদের মেয়াদকালে আর কোন নতুন নির্বাচনে হাত দিতে চায় না৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা এবং নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৬ই ফেব্রুয়ারি৷ আর নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বিদায় নেবেন ১৪ই ফেব্রুয়ারি৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক