নারী সাংসদদের আক্রমণ করে ট্রাম্পের টুইট
১৫ জুলাই ২০১৯ট্রাম্প তাঁর টুইটে কারও নাম উল্লেখ করেননি৷ তবে টুইটের ভাষা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, মিনেসোটার কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমর এবং মিশিগানের রাশিদা তালিবকে লক্ষ্য করে টুইট করেছেন ট্রাম্প৷ কারণ টুইটে ট্রাম্প ‘‘তাঁরা ইসরায়েলতে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন' বলে উল্লেখ করেছেন৷ সম্প্রতি ওমর ও তালিব ইসরায়েল নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন৷
ওমর শিশু বয়সে যুদ্ধবিদ্ধস্ত সোমালিয়া থেকে পালিয়ে শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন৷ আর ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত নারী তালিবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে৷
এই দুজন কংগ্রেসওম্যান ছাড়াও নিউইয়র্কের আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এবং ম্যাসাচুসেটসের আয়ানা প্রেসলিও আক্রমণের শিকার বলে ধারনা করা হচ্ছে৷
ট্রাম্প বলেন, এই চার সাংসদ এমন কয়েকটি দেশ থেকে এসেছেন যেখানকার সরকার সম্পূর্ণ দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ৷ ‘‘এসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও মহান দেশের নাগরিক ও সরকারকে দেশ পরিচালনার উপায় বলে দিচ্ছে, যা দেখে মজাই লাগছ,'' বলে তিনি৷ এই সাংসদদের তিনি ঐসব দেশে ফিরে গিয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ফিরে এসে কীভাবে তা করলেন, তা জানাতে বলেছেন৷
ন্যান্সি পেলোসি, ব্যার্নি স্যান্ডার্সসহ ডেমোক্রেট দলের কয়েকজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও অভিজ্ঞ আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের বক্তব্যকে বর্ণবাদী ও জেনোফোবিক বলে উল্লেখ করেছেন৷
ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান ওকাসিও-কর্টেজ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি (ট্রাম্প) ক্ষুব্ধ কারণ আপনি এমন আমাদেরসহ অ্যামেরিকার কথা কল্পনাও করতে পারেননা৷''
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ট্রাম্পের বক্তব্য ‘একেবারে অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন৷
সোমবার আবারও ঐ ডেমোক্রেট সাংসদের আক্রমণ করে টুইট করেন ট্রাম্প৷ এবার তিনি বলেন, ‘‘মৌলবাদী বামপন্থি কংগ্রেসওম্যানরা কবে ইসরায়েল, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও আমাদের দেশ সম্পর্কে ফাউল ভাষা ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইবেন৷ অনেক মানুষ তাঁদের কাজের জন্য ক্ষুব্ধ৷''
জেডএইচ/কেএম (এএফপি)