1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীদের পছন্দ ডার্ক চকোলেট

১ সেপ্টেম্বর ২০১১

হৃদয়ের গোপন কথাটি অন্যভাবে জানা গেল৷ জানা গেল হৃদয় ডার্ক চকোলেট পছন্দ করে৷ বিশেষ করে নারী হৃদয়৷

https://p.dw.com/p/12RLg
ডার্ক চকোলেটছবি: Cioccoshow Pressedienst

হৃদয়, বিশেষ করে নারী হৃদয়কে সুস্থ রাখার বেশ মিষ্টি উপায়ের সন্ধান দিলেন নামজাদা হৃদয় বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, বেশি জ্বালা যন্ত্রণার প্রয়োজন নেই৷ প্রাণভরে খান চকোলেট, দেখুন মজার ছবি আর জীবন থেকে হঠিয়ে দিন চাপ বা স্ট্রেস৷

সহৃদয় হৃদয়সংবাদী৷ যার অর্থ প্রিয় হৃদয়ের সংবাদ৷ যা কিনা আবার সেই, প্রিয়জনের জন্যই৷ এই প্রিয় হৃদয়ের সংবাদখানির মধ্যে কি লুকিয়ে নেই হৃদয়ের কথাও? ইংরেজিতে যাকে বলা হয়ে থাকে, হার্ট৷ এই হার্টের রোগে প্রতিদিন কত মানুষ কাতর হচ্ছেন বিশ্বজুড়ে৷ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, পঙ্গু বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছেন কিংবা বাকি জীবনটা তাঁদের কাটাতে হচ্ছে রীতিমত ধরাকাটের মধ্যে৷ আর এসবই হচ্ছে শুধুমাত্র হৃদয়দৌর্বল্যের কারণেই৷

কিন্তু, অন্য যে হৃদয়দৌর্বল্য, মানে মোটের ওপরে, যাদের জন্য হৃদয়ের এত বেদনা, সেই নারীকূলের হৃদয় সতেজ রাখার উপায় কী? কী সেই মন্ত্র, যার সন্ধান পেলে, জীবন হতে পারে সতেজ, সুস্থ, প্রাণবান আর অপরিসীম আনন্দের আধার? প্যারিসে সে বিষয়েই মতামত আদানপ্রদান করতে জড়ো হয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের হৃদয় বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের সম্মিলিত গবেষণালব্ধ ফলাফল বেশ বিস্ময়কর৷

Süßwarenmesse Köln 2011 Flash-Galerie
নারীদের পছন্দ ডার্ক চকোলেটছবি: ISM

ফলাফল বলছে, নারী কিংবা পুরুষ, উভয় হৃদয়কেই সতেজ রাখতে যে কাজগুলো মোটের ওপর করতেই হবে, তা এরকম৷ প্রথমত, কাজ করুন, কিন্তু কাজের চাপটাকে মাথায় চড়তে দেবেন না৷ অর্থাৎ স্ট্রেসকে বাদ দিন জীবনের দৈনন্দিনতার তালিকা থেকে৷ আর যেটা অবশ্যকরণীয়, তাহল কালো চকলেট খাওয়া৷ যে চকলেট আবার ডার্ক চকোলেট নামেই বেশি পরিচিত৷ একটু তিতকুটে স্বাদের সেই চকোলেট কিন্তু হৃদয়কে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়৷

এখানে এসে আবার একটা অন্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে পুরো বিষয়টাতে৷ আর তা' হল, সেই পুরানো প্রশ্ন৷ নারীরা এ প্রশ্ন তুলবেনই, যে চকোলেট খাওয়া মানে তো মোটা হওয়া৷ মানে ফিগারের বারোটা বাজানো৷ তাহলে?

এই তাহলের জবাব দিয়ে ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, মোটেই এটা সত্য নয়৷ চকলেট, বিশেষ করে ডার্ক চকলেট নাকি হৃদয়ের জন্য এক অদ্ভুত উপকারী বিষয়৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদয় গবেষক ডাক্তার অস্কার ফ্রাঙ্কো এ বিষয়ে বেশ বিস্তারিত সমীক্ষা এবং গবেষণা চালিয়েছেন৷ তিনি মোট এক লক্ষ হৃদরোগী এবং হৃদরোগী নন, এমন মানুষের ওপর চালানো মেট ছয়টি বড় আকারের সমীক্ষা পর্যালোচনা করেছেন৷ তার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এইসব মানুষদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত তাঁদের খাদ্যতালিকায় ডার্ক চকোলেট রেখেছেন তাঁদের হৃদয়ের সমস্যা শতকরা হিসেবে ৩৭ শতাংশ কমে গেছে৷ আর বাকিদের ক্ষেত্রে সেটাই বেড়েছে সম পরিমাণে৷ পাশাপাশি, দেখা গেছে, চকোলেট ভোজীদের হৃদয়ে স্ট্রোক বা চলতি তথায় যাকে বলা হয় হার্ট অ্যাটাক, তার মাত্রাও কমে গেছে বিশ শতাংশ৷

Süßwarenmesse Köln 2011 Flash-Galerie
চকোলেট খাওয়ার পাশাপাশি ব্যয়াম করলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকেছবি: ISM

এবার আসা যাক, হৃদয়, চকোলেট আর ফিগারের প্রসঙ্গে৷ চকোলেটে রয়েই যায় অতিরিক্ত চিনি৷ যে চিনি আবার শরীরে মেদ হয়ে জমে যায়৷ সেই অতিরিক্ত মেদ অবশ্যই মহিলাদের না পসন্দ্৷ এর জন্যই প্যারিসের হৃদয় সম্মেলনে যোগ দেওয়া চিকিৎসকদের বক্তব্য, ইচ্ছেখুশি মত ডার্ক চকোলেট খেয়েও হৃদয়কে সুস্থ রেখে তারপরেও মোটা না হয়ে থাকা যায়৷ উপায় কী তার?

উপায় এমন কিছু দুরূহ নয়৷ এক তো, প্রচুর হাসি৷ তার জন্য জীবনে না মিললে হাসির ছবি দেখার বা বইপত্র পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা৷ আর রয়েছে প্রচুর সাইক্লিং-এর পরামর্শ৷ দেখা গেছে, যেসব মহিলারা দিনে নিদেনপক্ষে কুড়ি মিনিট সাইক্লিং করেন বা অন্য কোন উপায়ে, ধরা যাক হাঁটাহাঁটি বা কাজকর্মের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে দিতে পারেন, তাঁরা কিন্তু দিব্য আছেন৷ আর এসব যাঁরা করেন না, তাঁদের অনুপাতে ওই আগের নারীরা  বাঁচেন অন্তত তিন থেকে চার বছর বেশি৷ আর সেই অতিরিক্ত জীবন কিন্তু এনে দেয় এই চকোলেট আর এই সামান্য ব্যায়াম ইত্যাদি৷

তাই সুস্থ থাকতে চাইলে, সতেজ হৃদয়ে অন্যদের সতেজতা এনে দিতে চাইলে কিছুটা সতর্ক হলেই ভালো৷ আর কে না জানে, যে সমাজে নারীরা সুখী, সেই সমাজের উন্নয়ন রোখার ক্ষমতা কারও নেই৷  আসুন তাই,

সুখের সমাজ গড়তে

ডার্ক চকোলেট খাই! ...

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন