‘নারীর আয়কে দ্বিতীয় শ্রেণির আয় হিসাবে দেখা হয়’
৮ মার্চ ২০২০তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে পোশাক খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে, তার পেছনে রয়েছে নারীকর্মীদের অবদান৷ গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করা বদলেছে লাখো নারীর জীবনযাপনের মান, দারিদ্র থেকে মুক্ত করেছে হাজার হাজার পরিবারকে৷
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সংবাদ সংস্থা থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে ফজিলাতুন নেসা বলেন, ‘‘দেশ হিসাবে উন্নয়নের পথে থাকতে হলে বাংলাদেশের নারীদের পেছনে সরিয়ে রাখা যাবে না৷ এটা একেবারেই অসম্ভব৷ কর্মক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশি করে নারীদের আনতে হবে৷''
ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী জানান, সরকার এই সমস্যার মোকাবিলা করতে চেষ্টা চালাচ্ছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘আগে নারীরা এবিষয়ে খুব কম কথা বলতেন৷''
কর্মক্ষেত্রে নারী
বাংলাদেশে প্রযুক্তির গুরুত্ব একদিকে যেমন বাড়ছে, সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের হারও৷ তবুও দেশে কর্মক্ষম নারীর মাত্র এক-তৃতীয়াংশই বেতনসহ কাজে নিযুক্ত রয়েছেন৷ প্রতি দশ কর্মক্ষম নারীর মাত্র একজন থাকছেন নেতৃত্বদানের ভূমিকায়৷ এমন তথ্য উঠে এসেছে ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ২০২০' শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে৷
অন্যদিকে, বাংলাদেশি নারীদের কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপর্যাপ্ত ডে-কেয়ারের মতো সমস্যা৷ পাশাপাশি, ঘর-সংসার ও অফিসের চাপ একসাথে সামাল দিতে পারার সামাজিক চাপও তাদের ওপর রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সচিব মালেকা বানু৷
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে নারীর আয়কে এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির আয় হিসাবেই দেখা হয়৷ তাই অনেক নারীই সেভাবে কাজে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না৷''
এসএস/জেডএইচ (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)
দেখুন ২০১৯ সালের মার্চে প্রকাশিত ছবিঘরটি...