1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা’’

আনিয়া ফেনলে/এসি৩ এপ্রিল ২০১৪

টোয়েন্টিফোর-সেভেন, মহিলারা তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন এই নম্বরে, যে সব মহিলারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন এই জার্মানিতেই৷ ১৫টি ভাষায় তাঁদের পরামর্শ, সান্ত্বনা কিংবা সাহায্য দেবার জন্য রয়েছেন কর্মীরা৷

https://p.dw.com/p/1BaMg
Familie Schatten Symbolbild Hand
ছবি: picture alliance / Markus C. Hurek

এক মহিলাকে তাঁর স্বামী পেটে লাথি মেরে একাই ছুটি কাটাতে চলে গেছে৷ যাবার সময় মহিলার ব্যাংক কার্ড ও বাড়ির চাবি, দুটোই সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে আর দশ ইউরো দিয়ে গেছে কুকুরের খাবার কেনার জন্য৷ তারপর নিপীড়িতা মহিলা ‘‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা'' ত্রাণ-টেলিফোনের শরণাপন্ন হয়েছেন৷ টেলিফোনে তাঁকে পেটের ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে বলা হয়৷ এছাড়া তাঁকে উইমেন্স সেন্টার আউটরিচ ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়৷

এ যাবৎ ১২ হাজার মহিলা এই সরকারি ত্রাণ-টেলিফোনের সাহায্য নিয়েছেন৷ এই টেলিফোন সম্পূর্ণ গোপনীয়, দাতব্য এবং ২৪ ঘণ্টা ধরে এখানে লোক থাকে৷ মহিলারা কী এবং কতটা বলতে চান, তাঁদের নামধাম, বয়স, ঠিকানা গোপন রাখতে চান কিনা, এ সবই তাঁরা নিজেরাই নির্ধারণ করেন৷ তাঁদের কাহিনিও হয় সেইরকম বিচিত্র: শারীরিক নিপীড়ন, জোর করে বিয়ে দেওয়া, ‘স্টকিং' অর্থাৎ পিছু নেওয়া থেকে শুরু করে মানুষ পাচার অর্থাৎ বেশ্যাবৃত্তি, সবরকমের জগৎ ও অভিজ্ঞতা৷ বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জার্মানিতে প্রত্যেক তৃতীয় মহিলা কখনো না কখনো সহিংসতার শিকার হয়েছেন৷

‘‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা'' টেলিফোনের নম্বর বাস-ট্রাম-মেট্রো ছাড়াও রাস্তার বিজ্ঞাপনে কিংবা ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে৷ অনেক মহিলার পক্ষেই এই টেলিফোন হলো সহিংসতার হাত থেকে মুক্তি পাবার পথে প্রথম পদক্ষেপ৷ অপরদিকে ত্রাণ-টেলিফোনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের পক্ষে এই প্রথম সংযোগটাই বহুক্ষেত্রে শেষ সংযোগ, কেননা সাহায্যপ্রার্থী মহিলাদের জীবনের পরের পদক্ষেপগুলির হিসাব রাখা তাঁদের কাজ নয়: তাঁরা হলেন এক ধরণের ফার্স্ট এইড৷

ইন্টারনেটের যুগে টেলিফোনের মতো ই-মেলের মাধ্যমেও পরামর্শ নেওয়া চলে৷ অপরদিকে জার্মানিতে অভিবাসী পরিবারগুলির সদস্য মহিলাদেরও সাহায্য করার প্রয়োজন এবং প্রচেষ্টা আছে, যে কারণে এই ত্রাণ টেলিফোনে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে একজন অনুবাদক, অর্থাৎ দোভাষীরও ব্যবস্থা করা যায় – এবং সেটা ১৫টি বিভিন্ন ভাষায়৷ এ যাবৎ তুর্কি এবং পোলিশ ভাষাতেই সবচেয়ে বেশি দোভাষীর প্রয়োজন পড়েছে, তার পরে আসছে আরবি, ইংরিজি ও রুশ ভাষা৷ ত্রাণ-টেলিফোনের ওয়েবসাইটটিও জার্মান ছাড়া ইংরিজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, রুশ ও তুর্কি ভাষায় দেখা যায়৷

২০১৩ সালের ৬ই মার্চ এই ত্রাণ-টেলিফোন চালু হওয়ার পর প্রথম আধ ঘণ্টায় টেলিফোন বেজেছিল ২০ বার৷ আজ দিনে শ'দেড়েকের বেশি ফোন আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য