টাইমসের সম্পাদকীয় আলোচনায়
২১ নভেম্বর ২০১৩নিউইয়র্ক টাইমসের অনলাইনে প্রকাশিত সম্পাদকীয়টি বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে৷ এগুলোর শিরোনামে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে নিউইয়র্কে টাইমসের যে আশংকা, সেটি তুলে ধরা হয়েছে৷
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য নিউইয়র্ক টাইমস শেখ হাসিনাকেই দায়ী করেছে৷ নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া, মানবাধিকার কর্মীদের নিপীড়ন বন্ধ করা এবং বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছানো৷''
এছাড়া বিরোধী দলের হরতাল, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এসব বিষয়ও সম্পাদকীয়তে স্থান পেয়েছে৷
প্রথম আলো তাদের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত খবরটি শেয়ার করার পর তার নীচে অনেকেই মন্তব্য করেছেন৷ রোশন জামির তানভির লিখেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র সবসময় চায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত হোক৷ তাই তারা বিএনপি জামাতকে ক্ষমতায় আনতে চায় এবং জঙ্গিবাদের বাহানায় তারা আমাদের দেশেও ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতো হস্তক্ষেপ করতে পারে৷ তাদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে সৈন্য প্রেরণ করা, অর্থাৎ ঘাঁটি করা৷ ২০১৪ সালের পর তারা আফগানিস্তান ছাড়বে বলছে, যাবে কোথায়?? তাই বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানে মদদ এবং বিএনপির সাথে আঁতাত!!''
তবে মোহাম্মদ সেলিম আফরাদ জোয়ারদার লিখেছেন, ‘‘যে এই সরকারের কোনো ভুল ধরিয়ে দিবে বা সরকারের বিরুদ্ধে যে কথা বলবে সে হবে রাজাকার৷ এটাই এই সরকারের চামচদের নীতি৷''
এদিকে ইফতেখার মোহাম্মদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিউইয়র্ক টাইমসের লেখাটিকে সম্পাদকীয় নয়, ‘চিঠি' বলতে চেয়েছেন৷ এর পক্ষে তিনি যুক্তি দেয়ারও চেষ্টা করেছেন৷