নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি
২২ মার্চ ২০১৯দেশটির পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে, তারা টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হুমকির তদন্ত করছে৷
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, একটি টুইটার পোস্টে একটি বন্দুকের ছবির সঙ্গে ‘এরপর আপনি’ ক্যাপশন লিখে সেটি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে৷ এরপর ঐ টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও পত্রিকাটি জানিয়েছে৷
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে এর সত্যতা যাচাই করে দেখতে পারেনি৷
অস্ট্রেলিয়ার ২৮ বছর বয়সি ব্রেন্টন টেরান্ট গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদসহ আরেকটি মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করেন৷
এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর আজ শুক্রবার আল নূর মসজিদের সামনে জুম্মার নামাজের সময় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্দার্ন ও মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যসহ দেশটির অনেক সাধারণ নাগরিক উপস্থিত ছিলেন৷ হেডস্কার্ফ ও কালো পোশাক পরিহিত আর্দার্ন সেই সময় দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ড আপনাদের সাথে একসঙ্গে শোক প্রকাশ করছে৷ আমরা এক৷’’
এই সময় কড়া নিরাপত্তা প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ নারী পুলিশ সদস্যরাও হেডস্কার্ফ পরে ছিলেন৷ আর তাঁদের পোশাকে লাল গোলাপ লাগানো ছিল৷
নামাজের সময় উপস্থিত সাধারণ নাগরিকদের অনেকেও হেডস্কার্ফ পরেছিলেন৷ নিহতদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷
দেশব্যাপী টিভি ও বেতারে জুম্মার নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷
আল-নূর মসজিদ ছাড়াও পুরো দেশেই হাজার হাজার মানুষ নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন৷ অনেকে মসজিদের সামনে মানববন্ধনও তৈরি করেছেন৷
নামাজের আগে আল-নূর মসজিদের ইমাম গামাল ফুদা প্রায় ২০ মিনিট বক্তব্য দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে৷ কিন্তু আমরা ভেঙে পড়িনি৷ আমরা বেঁচে আছি৷ আমরা একসঙ্গে আছি৷ আমরা কাউকে আমাদের মাঝে বিভক্তি তৈরি করতে দেব না৷’’
নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের ভালোবাসার মানুষদের হত্যা বিফলে যায়নি৷ তাঁদের রক্ত দিয়ে আশার বীজে পানি দেয়া হয়েছে৷’’
উল্লেখ্য, মসজিদে হামলার ঘটনায় দেশটির অস্ত্র বিক্রি আইনে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আর্দার্ন৷ বৃহস্পতিবার তিনি জানান, এবার থেকে সামরিক-শৈলীর সেমি-অটোম্যাটিক ও অটোম্যাটিক অস্ত্র আর বিক্রি করা হবে না দেশটিতে৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)