1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্যাটেলাইট তথ্য প্রকাশ

২৭ মে ২০১৪

এমএইচ৩৭০ উড়ালের ‘নিখোঁজ’ বিমান সম্পর্কিত স্যাটেলাইট তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে যে, বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে বিধ্বস্ত হয়েছে৷ যদিও এখনও কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি৷

https://p.dw.com/p/1C7T4
এমনই একটি বিমান নিখোঁজ হয়ে গেছেছবি: picture-alliance/dpa

মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তর ডিসিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্যাটেলাইট তথ্য প্রকাশের জন্য ব্রিটিশ স্যাটেলাইট অপারেটর ‘ইনমারস্যাট’-এর সঙ্গে কাজ করেছে তারা৷ প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে কিছু ব্যাখ্যা যোগ করা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ সেগুলো বুঝতে পারে৷

তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘অত্যন্ত জটিল’ এ সব প্রাথমিক তথ্য পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে৷

মূলত বিমানটিতে থাকা ২৩৯ আরোহী এবং কেবিন ক্রুদের পরিবারের দাবির ভিত্তিতে এ সব তথ্য প্রকাশ করলো মালয়েশিয়া৷ ১১ সপ্তাহ আগে বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং-এর পথে যাত্রা করেছিল৷ কিন্তু যাত্রার মাঝপথেই রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায় সেটি৷ আর এখন অবধি বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষ কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

বিমানটির সম্ভাব্য গতিপথ খুঁজে পেতে ‘ডপ্লার এফেক্ট’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে৷ ইনমারস্যাটের রেকর্ড করা তথ্য ডিসিএ, মার্কিন জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড, ব্রিটিশ বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত শাখা এবং চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখেছে৷

তবে ৮ই মার্চ বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিমানটির কিছুই খুঁজে না পাওয়া যাওয়ায় অনেকের সন্দেহ দূর হচ্ছে না৷ বিশেষ করে, বিমানটির আরোহীদের পরিবারের সদস্যরা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বক্তব্যের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না৷ পরিবারের সদস্যদের কথা হচ্ছে, ‘‘ঠিক কিসের ভিত্তিতে ইনমারস্যাটের দেয়া তথ্যকে নির্ভুল এবং বিশ্বাসযোগ্য মনে করে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাংশে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়৷’’

সিঙ্গাপুর নির্ভর বিমান চলাচল বিষয়ক প্রকাশনা ‘ফ্লাইগ্লোবাল’-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক গ্রেগ ভালড্রন এ বিষয়ে বলেন, ‘‘ইনমারস্যাটের দেয়া তথ্যে মূলত ভারত মহাসাগরের উপরে অবস্থানকালে বিমানটির সঙ্গে স্যাটেলাইটের যোগাযোগের সময়গুলো উল্লেখ রয়েছে৷ এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে এখন যেখানে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে সেটি সঠিক জায়গা কিনা – সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশের সুযোগ রয়েছে৷’’

উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরে বর্তমানে বিমানটি খোঁজায় নেতৃত্ব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া৷ এই উদ্ধার কর্মকাণ্ডের পেছনে দু’বছর মেয়াদে ৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি৷

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য