পদ্মা সেতু প্রকল্প
৯ জুলাই ২০১২সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের রূপরেখা উপস্থাপনের পরের দিন, অর্থাৎ সোমবার, মন্ত্রী পরিষদেও একই সিদ্ধান্ত হলো৷ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে দেশীয় অর্থায়নেই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে৷ এরপর কোনো দাতা গোষ্ঠি বা প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে চাইলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়া জানান, ব্যাংক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ এবং প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে সেতুর কাজ শুরু হবে৷
তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংককে এই সেতু প্রকল্পে আর অর্থায়নের অনুরোধ জানানো হবেনা৷ তারা যদি ভুল বুঝতে পেরে আবার আগ্রাহী হয়, তাহলে তা বিবেচনা করে দেখা হবে৷ আর বিকেলে পদ্মা সেতু নিয়ে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ বৈঠেকে পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে৷ চাওয়া হয়েছে তাদের সহযোগিতা৷ এই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে আছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক ও জাইকাসহ ১৮টি দাতা সংস্থা৷ তবে বিশ্ব ব্যাংকের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে ছিলেন না৷
এদিকে, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারের উদ্যোগে সহায়তার কথা বলেছেন৷ তবে তার আগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে৷ বিশ্ব ব্যাংকের অভিযোগ এবং সরকারের অবস্থান সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তিনি৷
অন্যদিকে, দেশের সাধারণ মানুষ মনে করেন সরকারের এই উদ্যোগ ইতিবাচক৷ তারা মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে৷
৬.১৫ কি.মি. দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাতিল করা হয়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ