‘অবহেলিত’ ব্রুস লি
১৯ জুলাই ২০১৩১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই৷ মার্শাল আর্ট কুং ফু প্রেমীদের জন্য সবচেয়ে শোকের দিন৷ সেদিন মাত্র ৩২ বছর বয়সে চিরবিদায় নিয়েছিলেন ব্রুস লি৷ জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে৷ তবে বড় হওয়া, কুং ফু-তে সর্বোচ্চ দক্ষতা দেখিয়ে তারকা হওয়া এবং মৃত্যু – এ সবই হংকংয়ে৷ তাই ব্রুস লি-র দেশ বললে হংকংয়ের কথাই বলেন সবাই৷ কিন্তু অনেকের মতে সেই হংকংয়েই এখনো প্রাপ্য মর্যাদা পাননি ‘কুং ফু কিং'৷ তাঁর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে হংকংয়ের অনেকেই বলছেন এ কথা৷
কাওলুন টং শহর, ৪০ বছর আগে যেখানে মৃত্যু বরণ করেন ব্রুস লি, সেই শহরে এখন সাজ সাজ রব৷ পোস্টারে পোস্টারে সাজানো হচ্ছে শহর৷ গ্রাফিটি আঁকা হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে৷ মৃত্যু দিবসে হবে মহানায়কের ছবির বিশেষ প্রদর্শনী৷ সব ঠিক আছে৷ তবু ভক্তদের মনে হতাশা৷ বড় একটা অতৃপ্তি তাঁদের কষ্ট দেয় আজও৷ হংকংয়ে এখনো ব্রুস লির কোনো স্মৃতিসৌধ বা জাদুঘর নেই৷ সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে লি ভক্ত সাধারণ লোকজনও মনে করছেন হংকং সরকার চীন সরকারকে সন্তুষ্ট রেখে যেটুকু না করলেই নয়, কেবল সেটুকুই করছেন৷ তাই কাওলুন টংয়ের ব্রুস লির বাসাটা কিনে তাঁর নামে একটা জাদুঘর তৈরির চেষ্টা কেন এখন বন্ধ তা জানতে চেয়েছিলেন এক সংসদ সদস্য৷
কোনো সদুত্তর আসেনি৷ জানা গেছে, প্রয়াত কুং ফু জাদুকরকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ, ছায়াছবির প্রদর্শনী এবং আরো অনেক আয়োজনে ভক্তদের মন ভরানোর ইচ্ছে থাকলেও কাওলুনে কোনো জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা হংকং সরকারের এখনো নেই৷ হংকংয়ের ব্রুস লি ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান অং ইউং-কিউং খুব দুঃখ করে বললেন, ‘‘এ শহর (কাওলুন)কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়োজন যখনই দেখা দিয়েছে, তখনই খুব ফলাও করে বলা হয়েছে ব্রুস লি-র কথা৷ কিন্তু এ শহর তাঁর জন্য কখনো কিছু করেনি৷''
এসিবি/এসবি (রয়টার্স)