1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অবহেলিত’ ব্রুস লি

১৯ জুলাই ২০১৩

ক্যারিয়ারের সেরা ছবি ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ মুক্তি পাওয়ার ছয় দিন আগে মারা যান তিনি৷ তারপর থেকে বিশ্বে এমন কোনো দেশ নেই যেখানে তাঁকে মনে করে চলচ্চিত্র হয়নি৷ অথচ নিজের দেশ হংকংয়ে মৃত্যুর ৪০ বছর পরও অবহেলিত ব্রুস লি!

https://p.dw.com/p/19AO7
BRUCE LEE (Geboren als Li Jun-fan chin am 27. November 1940 in San Francisco; Starb am 20. Juli 1973 in Hongkong), amerikanischer Schauspieler und Meister des Kampfsports. Er gilt als Ikone des Martial-Arts-Films und größter Kampfkünstler des 20. Jahrhunderts. Photo: Bruce Lee in Enter the Dragon, 1973. Bruce Lee (1940 - 1973), born in San Francisco and raised in Hong Kong, was a martial artist and martial arts actor widely regarded as the most influential martial artist of the 20th century. He was the father of deceased actor Brandon Lee and of actress Shannon Lee.
ছবি: picture alliance/united archives

১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই৷ মার্শাল আর্ট কুং ফু প্রেমীদের জন্য সবচেয়ে শোকের দিন৷ সেদিন মাত্র ৩২ বছর বয়সে চিরবিদায় নিয়েছিলেন ব্রুস লি৷ জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে৷ তবে বড় হওয়া, কুং ফু-তে সর্বোচ্চ দক্ষতা দেখিয়ে তারকা হওয়া এবং মৃত্যু – এ সবই হংকংয়ে৷ তাই ব্রুস লি-র দেশ বললে হংকংয়ের কথাই বলেন সবাই৷ কিন্তু অনেকের মতে সেই হংকংয়েই এখনো প্রাপ্য মর্যাদা পাননি ‘কুং ফু কিং'৷ তাঁর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে হংকংয়ের অনেকেই বলছেন এ কথা৷

কাওলুন টং শহর, ৪০ বছর আগে যেখানে মৃত্যু বরণ করেন ব্রুস লি, সেই শহরে এখন সাজ সাজ রব৷ পোস্টারে পোস্টারে সাজানো হচ্ছে শহর৷ গ্রাফিটি আঁকা হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে৷ মৃত্যু দিবসে হবে মহানায়কের ছবির বিশেষ প্রদর্শনী৷ সব ঠিক আছে৷ তবু ভক্তদের মনে হতাশা৷ বড় একটা অতৃপ্তি তাঁদের কষ্ট দেয় আজও৷ হংকংয়ে এখনো ব্রুস লির কোনো স্মৃতিসৌধ বা জাদুঘর নেই৷ সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে লি ভক্ত সাধারণ লোকজনও মনে করছেন হংকং সরকার চীন সরকারকে সন্তুষ্ট রেখে যেটুকু না করলেই নয়, কেবল সেটুকুই করছেন৷ তাই কাওলুন টংয়ের ব্রুস লির বাসাটা কিনে তাঁর নামে একটা জাদুঘর তৈরির চেষ্টা কেন এখন বন্ধ তা জানতে চেয়েছিলেন এক সংসদ সদস্য৷

কোনো সদুত্তর আসেনি৷ জানা গেছে, প্রয়াত কুং ফু জাদুকরকে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ, ছায়াছবির প্রদর্শনী এবং আরো অনেক আয়োজনে ভক্তদের মন ভরানোর ইচ্ছে থাকলেও কাওলুনে কোনো জাদুঘর নির্মাণের পরিকল্পনা হংকং সরকারের এখনো নেই৷ হংকংয়ের ব্রুস লি ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান অং ইউং-কিউং খুব দুঃখ করে বললেন, ‘‘এ শহর (কাওলুন)কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়োজন যখনই দেখা দিয়েছে, তখনই খুব ফলাও করে বলা হয়েছে ব্রুস লি-র কথা৷ কিন্তু এ শহর তাঁর জন্য কখনো কিছু করেনি৷''

এসিবি/এসবি (রয়টার্স)