নিম্নকক্ষে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করল সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষ। বুধবার প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের পক্ষে রায় দিলেন সাংসদরা। যদিও এখনও নিজের পদে থেকে যাওয়ার সুযোগ আছে ট্রাম্পের। কারণ নিম্নপক্ষের পরে সংসদের উচ্চকক্ষ বা সেনেটে যাবে মামলা। সেখানেও ভোটাভুটি হবে। সেই ভোটে দুই তৃতীয়াংশ যদি প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেন, তবেই ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে।
বুধবার প্রায় দশ ঘণ্টা ঘরে অ্যামেরিকার সংসদের নিম্নকক্ষে প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্ট নিয়ে বিতর্ক চলে। মূলত দুটি বিষয়ে বিতর্ক হয়। এক, পুনর্নিবাচনের সম্ভাবনা বাড়াতে ট্রাম্প বিদেশি হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন৷ ইউক্রেনের সরকারের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন৷ এবং দুই, তিনি জাতীয় নিরাপত্তার তোয়াক্কা করেননি এবং সংসদের কার্যকলাপে বাধা দিতে অভূতপূর্ব অভিযান চালিয়েছেন৷ বস্তুত, মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষে ইন্টেলিজেন্স কমিটি আগেই এ বিষয়ে তাদের রিপোর্ট পেশ করেছিল। তারই উপর ভিত্তি করে এ দিন নিম্নকক্ষে বিতর্ক হয়। বিতর্কের শেষে ভোটাভুটিতে যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়ে যায় ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব।
২০২০ সালের গোড়ায় বিষয়টি যাবে মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটে। নিম্নকক্ষে ট্রাম্প-বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা বেশি হলেও উচ্চকক্ষে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা। ফলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, উচ্চকক্ষের ভোট প্রেসিডেন্টের পক্ষেই থাকবে। ফলে শেষ পর্যন্ত ইমপিচমেন্টের সিদ্ধান্ত পাশ হবে না।
অ্যামেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্পই তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি অভিশংসিত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রস্তাব পাশ হোক বা না হোক, কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আসাই যথেষ্ট লজ্জার। ট্রাম্পও যে বিষয়টি নিয়ে বিচলিত হয়েছেন, তা তাঁর ব্যবহারেই স্পষ্ট। বুধবার ভোটাভুটির আগে তিনি নিম্নকক্ষের স্পিকারকে চিঠি দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছিলেন। যার উত্তরে ডেমোক্র্যাটদের উত্তর ছিল, এ ধরনের ভিত্তিহীন আক্রমণে প্রেসিডেন্টের জুরি নেই। এ সব বিষয়ে তিনি নিজেই নিজের নজির ভাঙেন।
এসজি/জিএইচ(ডিডব্লিউ, রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস)