1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরামিষ কমিয়ে আনে হৃদরোগের ঝুঁকি

হাফসা হোসাইন২১ অক্টোবর ২০০৮

খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সুস্থতা, অসুস্থতার বিষয়টি যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তার প্রমাণ হলো আবারো৷ এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, শাক-সব্জি ও ফলমূল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এক-তৃতীয়াংশ৷

https://p.dw.com/p/FeBi
শাক-সব্জি ও ফলমূল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এক-তৃতীয়াংশছবি: AP

বিশ্বের ৫২টি দেশের ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপর সম্প্রতি গবেষণা চালায় কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি ও বিভিন্ন সংস্থা৷ গবেষকরা বিশ্বে মূলত তিন ধরনের খাদ্যাভ্যাস সনাক্ত করেছেন৷ প্রথমত, পশ্চিমা ধাঁচের ডায়েট৷ যে খাদ্য তালিকায় চর্বি, লবণ আর মাংসের পরিমাণ থাকে বেশি৷ এ রকম খাবারে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে ৩০ শতাংশ৷

খাদ্যাভ্যাসের দ্বিতীয় নমুনা হলো প্রাচ্যের প্রচলিত খাবার৷ যেখানে টফু, সয়াবিন আর নানা ধরনের সসের আধিক্য বেশি৷ এ রকম খাবারও হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর৷ আর সবচেয়ে ভালো হলো নিরামিষভোজীদের খাদ্য তালিকা৷ যেখানে রয়েছে শাক-সব্জি আর ফলমূলের বাহার৷ আর এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এক-তৃতীয়াংশ৷ এ ধরনের খাদ্যাভ্যাস যাদের তাদেরকে বিচক্ষণ বলে অভিহিত করেছেন গবেষকরা৷

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ১৯টি দলে ভাগ করা হয়৷ যাদের মধ্যে ৫,৫৬১ জন ছিলেন হৃদরোগী৷ আর হৃদরোগ সম্পর্কে জানেন এরকম লোক ছিলেন ১০,৬৪৬ জন৷ দেখা গেছে, যাদের খাদ্য তালিকায় ভাজা খাবার ও মাংস কম কিংবা একেবারেই ওসব থাকে না তাদের চেয়ে পশ্চিমা খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্তদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বেশি৷ কারণ, নোনতা খাবার রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়৷ আর খাবারের চর্বি মানুষের শিরায় জমা হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়৷

তাই বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বিশেষ করে হৃদরোগের জন্য খাদ্যাভ্যাসকেই বেশি দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, একজন মানুষ পৃথিবীর কোন প্রান্তে বাস করছে, তার খাবারের ধরনটি ব্রিটিশ, আফ্রিকান, ক্যারিবিয়ান না এশিয়ান সেটি কোন বিষয় নয়৷ মূল বিষয় হলো সুস্থ থাকতে হলে কমিয়ে দিতে হবে ভাজা, চর্বিযুক্ত আর নোনতা খাবারের পরিমাণ৷ তার পরিবর্তে বেশি খেতে হবে ফলমূল আর শাক-সব্জি৷