নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা
১২ নভেম্বর ২০১২রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্য দাবি, নির্বাচন নিয়ে তারা কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন না৷ শুধুমাত্র নিজেদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করছেন৷ তবে এ বিষয়ে মতান্তর রয়েছে৷
মহাজোট সরকারের প্রধান শরীক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভারত সফর দিয়ে শুরু৷ তারপর গেলেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি'র চেয়ার পাসর্ন বেগম খালেদা জিয়া৷ এরশাদ এখন জোট ছেড়ে এককভাবে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতির কথা বলছেন৷ আর বিএনপি'র চেয়ারপার্সন ভারত সফরের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফরে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে৷ যদিও তারা সুনির্দিষ্ট করে সময় বলতে পারেছেন না৷ আর সরকারের তো কূটনৈতিক তৎপরতা আছেই৷
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসব তৎপরতা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, শেষ পর্যন্ত আর একপাক্ষিক নির্বাচন হচ্ছে না৷ নির্বাচন হবে সব দলকে নিয়েই৷
রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য বিদ্বেষের কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিরা কথা বলার সুযোগ পায়৷ আমাদের ব্যর্থতাই তাদের সুযোগ করে দেয়৷ তিনি বলেন, এই সময়ে বিরোধী দলের নেতাদের ভারত সফর অবশ্যই রাজনৈতিক৷ তাই খালেদা জিয়ার ভারত সফর অবশ্যই সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখেই হয়েছে৷
তবে বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, তাদের কূটনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই৷ আগামী নির্বাচন পদ্ধতি কি হবে তার জন্য শেষ পর্যন্ত সংসদেই যেতে হবে৷
সব মিলিয়ে এখন যে নির্বাচনী কূটনীতি চলছে, তার ফলাফল আরো স্পষ্ট হবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে – মনে করেন বিশ্লষকরা৷