1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করল এসপিডি

৩০ জুলাই ২০০৯

জার্মানিতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই সাধারণ নির্বাচন৷ ভোটারদের মন জয় করতে রাজনৈতিক দলগুলি তাই তৎপর হয়ে উঠছে৷ এসপিডি’র চ্যান্সেলার পদপ্রার্থী স্টাইনমায়ার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করলেন৷

https://p.dw.com/p/J0Nz
ভোটারদের মন জয় করতে চায় ‘টিম স্টাইনমায়ার’ছবি: AP

জার্মান সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না৷ প্রায় ৭ বছর ক্ষমতাকেন্দ্রে থাকার পর এবং গত ৪ বছর ধরে মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক দল হয়েও দলের ভাবমূর্তীর ক্রমশঃ আরও অবনতি ঘটছে৷ জুন মাসের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে অত্যন্ত খারাপ ফলাফল করে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে ঐ দল৷

এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করল এসপিডি দল৷ বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা ভাইস চ্যান্সেলার এবং আগামী নির্বাচনে চ্যান্সেলার পদপ্রার্থী ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার ১৮ সদস্যের এক কমিটি গঠন করেছেন, যাঁদের ভবিষ্যৎ মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ এঁদের মধ্যে ১০ জনই নারী৷ মহাজোট সরকারে এসপিডি দলের প্রায় সব মন্ত্রীই এই কমিটিতে আছেন – রয়েছে অনেক নতুন মুখও৷ বাদ পড়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী উলা স্মিট, যিনি সম্প্রতি স্পেনে ছুটি কাটাতে গিয়ে সেখানে নিজের সরকারী গাড়ি আনিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ স্টাইনমায়ার বৃহস্পতিবার এমন এক প্রশাসনের রূপরেখা তুলে ধরতে চেয়েছেন, যার মধ্যে বেশীরভাগ সদস্যই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ, বয়সে তরুণ এবং যাতে নারীদের সংখ্যা বেশী৷ নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় ‘টিম স্টাইনমায়ার’এর এই সদস্যরা ভোটারদের সামনে নিজেদের বিষয়গুলি সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসূত্র তুলে ধরার চেষ্টা করবেন৷ অর্থাৎ শুধু নেতা বা ব্যক্তি নয়, সমষ্টি হিসেবে এসপিডি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ভোটারদের সামনে এমন এক বিকল্প সরকারের রূপরেখা তুলে ধরতে চায়, যা অবিলম্বে কাজ শুরু করতে পারে৷ স্টাইনমায়ার বলেন, ‘‘আগামী কয়েক সপ্তাহে আমরা সবাই মিলে স্পষ্ট করে দেব, যে আমরা এই দেশের ভবিষ্যতের জন্য অনেক ভালোভাবে প্রস্তুত৷ একমাত্র এসপিডি সরকারের চালিকা শক্তি হলে তবেই এই কঠিন সময়ে জার্মানিতে সামাজিক নীতির অস্তিত্ব থাকবে৷’’

মধ্য বামপন্থী দল হিসেবে এসপিডি গত প্রায় এক দশক ধরে নানা সংস্কারমূলক নীতি গ্রহণ করে নিজস্ব সমর্থকদের একটা বড় অংশের রোষের মুখে পড়েছে৷ এই সব নীতির প্রতিবাদে তারা এসপিডির বদলে বামপন্থী দল ‘ডি লিঙ্কে’র কর্মসূচিকেই সমর্থন করছে৷ অনেকে আবার ঝুঁকেছে সবুজ দলের দিকে৷ বর্তমান যুগের চ্যালেঞ্জ ও সেই সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সামাজিক গণতন্ত্রী আদর্শ কীভাবে প্রয়োগ করা উচিত, সাবেক চ্যান্সেলার গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার নিজের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তা স্পষ্ট ভাষায় ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে পারতেন ও তাদের সমর্থন আদায় করতে পারতেন৷ বর্তমান নেতৃত্বে সেই আদলের কোনো নেতা নেই, যিনি জনসংযোগের কাজে শ্র্যোডারের মত দক্ষ৷ এমনকি শ্র্যোডারের একদা ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টাইনমায়ারও এখনো পর্যন্ত সেই দক্ষতা রপ্ত করতে পারেন নি৷ কিন্তু তিনি হাল ছাড়তে রাজি নয়৷

বাকি রাজনৈতিক দলগুলিও এসপিডি’র এই ‘টিম স্টাইনমায়ার’ সম্পর্কে মন্তব্য করেছে৷ সবুজ দলের এক নেতা বলেছেন, এসপিডি’র এই টিমের দিকে তাকালে মনে হয়, তারা আবার চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বে জোটের ছোট শরিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে৷ উদারপন্থীদের মতে, টিমে কে রয়েছে তাতে কিছুই এসে যায় না৷ কারণ দলের কর্মসূচি বড় বেশী বামপন্থী হয়ে পড়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক