নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা শত্রু ও গুপ্তচর
এমনটাই মনে করছেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রনেতা নিকোলাস মাদুরো৷ কেন এমন মন্তব্য, জানুন ছবিঘরে...
চলছে নির্বাচন
ভেনেজুয়েলায় বর্তমানে চলছে জাতীয় নির্বাচন৷ সেই নির্বাচনের মান কেমন, তা যাচাই করতে সেখানে পৌঁছেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকেরা৷ রাষ্ট্রনেতা নিকোলাস মাদুরো রোববার এই পর্যবেক্ষকদের ‘গুপ্তচর’ ও ‘শত্রু’ বললেন৷
যা বললেন মাদুরো
মাদুরোর মতে, ‘‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তরফে যেসব গুপ্তচরের দল এখানে এসেছিল, ঠিক শত্রুর মতো, তারা নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করার মতো কিছুই খুঁজে পায়নি৷’’
যা বলছে ইউরোপ
স্থানীয় নির্বাচনগুলিতে এর আগের নির্বাচনগুলির তুলনায় উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান ইইউ এরর পর্যবেক্ষকেরা৷ কিন্তু প্রশাসনিক অজুহাতে বিভিন্ন প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা, ভোটকেন্দ্র খুলতে দেরি করা ও প্রচারে রাষ্ট্রীয় শক্তির ব্যবহারকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না তারা৷ যদিও মাদুরোর মতে, এসব মন্তব্য করা হচ্ছে কেবল ভেনেজুয়েলাকে কালিমালিপ্ত করতে৷
পর্যবেক্ষকের কাজ
ভেনেজুয়েলার গত ১৫ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি ছিল৷ ২৩টির মধ্যে ২২টি নির্বাচনে ছিলেন এক হাজার পর্যবেক্ষক৷ আগামী দু’মাসের মধ্যে এবিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন তারা৷
যা দেখলেন পর্যবেক্ষকেরা
পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ইসাবেল সান্তোস বলেন, ‘‘দেশের কয়েকটি আইন সবার জন্য সাম্যের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ভারসাম্য ও স্বচ্ছতায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে৷’’ কয়েকটি ক্ষেত্রে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও পর্যবেক্ষকদের সম্পূর্ণ মতামত পাওয়া যাবে আসন্ন প্রতিবেদনেই৷
ভোটের ফলাফল
২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম বিরোধী শক্তিরা নির্বাচনে নামলেন৷ তবুও মাদুরোর সোশালিস্ট পার্টি ২১০টি মেয়র আসনে জিতেছে৷ ২৩টির মধ্যে ৩টি গভার্নর পদ পেয়েছে বিরোধীরা৷ ২০১৭ সালের নির্বাচনে মাদুরোর দল পায় প্রায় ৫৯ লাখ ভোট৷ এবারের নির্বাচনে জয় লাভ করলেও মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখের চেয়ে কিছু কমে৷