1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অপরাধভারত

নির্ভয়া ও আরজি করের মামলার বিচারকের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে: রঞ্জিত শূর

২১ জানুয়ারি ২০২৫

সেমবারই আরজি করে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে রায় দিয়েছেন শিয়ালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বান দাস। তিনি একমাত্র অভিয়ুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

https://p.dw.com/p/4pQJP

রায় দিতে গিয়ে শিয়ালদা আদালতের বিচারক সিবিআই, পুলিশ ও আরজি কর কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন।

নির্দেশে সিবিআই সম্পর্কে বিচারক লিখেছেন, "এই মামলা ইলেকট্রনিক্স, সায়েন্টিফিক এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপর দাঁড়িয়ে। এক্ষেত্রে তদন্তকারীদের আরো প্রশিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন।"

রায়ে বলা হয়েছে, "টালা থানা যেখানে তদন্ত শেষ করেছে, সিবিআই দায়িত্ব নিয়ে সেই অনুযায়ী তদন্ত করেনি।"

পুলিশ সম্পর্কে বিচারক বলেছেন, "টালা থানা যদি প্রথম থেকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পদক্ষেপ করত, তাহলে বিষয়টা জটিল হত না। থানা তদন্তে নির্বিকার ছিল। এর ফলে মামলার মেরিট নষ্ট হয়েছে।"

আরজি কর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে বিচারক লিখেছেন, "তদন্তকারী অফিসারের ত্রুটি বা পুলিশ ও হাসপাতালের গাছাড়া ভাব যদি মামলা দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়, বিচার বিভাগ তা এড়াতে পারে না। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কেন নিজে এফআইআর করেননি, কেন নিহতের বাবা-মাকে সেমিনার রুমে আগে ঢুকিয়ে মেয়েকে দেখতে দেয়া হয়নি, এইসব প্রশ্নের জবাব সন্তোষজনক নয়। 

সম্প্রতি রাজ্যের তিনটি মামলায় ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও হুগলির গুড়াপে ধর্ষণ ও খুনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। তবে এগুলির ক্ষেত্রে নিহত হয়েছিল নাবালিকারা। মামলা হয়েছিল পকসো আইনে।

মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর বলেন, "আইনের বইতে কী লেখা আছে শুধু তা দিয়ে নয়, বিচারকদের দৃষ্টিভঙ্গি রায়দানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নির্ভয়া ও আরজি করের মামলার বিচারকের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য রয়েছে। নির্ভয়ার ক্ষেত্রে অপরাধীরা সব চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল, সন্দেহের অবকাশ ছিল না। কিন্তু আরজি কর মামলায় সেটা রয়েছে, তা বিচারপতি রায়দানের সময় উল্লেখ করেছেন।"