1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নিষেধাজ্ঞা দিলে পরে যদি স্পেয়ারপার্টস না দেয়'

১৯ মে ২০২৩

.ব্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে এয়ারবাস থেকে বিমান কেনার সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক আছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, রক্ষণাবেক্ষণের ঝুঁকি কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4Rauq
সালমান এফ রহমান
ছবি: DW

‘‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়'' টকশোতে শুক্রবার অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ কথা বলেন৷ বাংলাদেশের বিমান বহরে ২১টি উড়োজাহাজের ১৬টি মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের৷ সেখানে হাসিনার সবশেষ জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর যুক্তরাজ্য সফরে ব্রিটিশ বিমান প্রস্তুতকারক এয়ারবাসের কাছ থেকে প্রথমবারের মত বিমান কেনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়৷

.ব্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে যু্ক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের কোন প্রভাব এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘‘শুধু একটি এয়ারলাইন্সের ওপর নির্ভরশীল থাকা উচিত না৷''

বেক্সিমকোর কর্ণধার সালমান আরো বলেন, ‘‘যত বড় এয়ারলাইন্স আছে, সবার বোয়িংও আছে, এয়ারবাসও আছে৷ আমরাও ভেবেছি, শুধু বোয়িংয়ের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে এয়ারবাসের সঙ্গেও ব্যবসা করা উচিত৷''

এ কথায় .ব্যাব প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘‘.ব্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে৷ অথচ তাদের তারাই প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ তাদের যন্ত্রপাতি দিয়েছে৷ যদি সেইসব যন্ত্রপাতির ‘স্পেয়ার পার্টস' দরকার হয়, তখন যদি তারা বলে আমরা দেব না, কারণ নিষেধাজ্ঞা আছে, তখন কী করবেন?''

তবে বাংলাদেশের এখন আরো উড়োজাহাজ দরকার আছে বলে জানান তিনি৷ ‘‘আমাদের আরো অনেক বিমান লাগবে৷ অনেক রুট আছে৷ সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে৷ বিমান লাগবে আরো৷ কার্গো ব্যবসাটাও বিদেশি ক্যারিয়ারের ওপর নির্ভরশীল৷ এর ৯০ ভাগ তারা করছে,'' বলেন সালমান৷

অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান এছাড়াও অর্থনীতি, ব্যাংক, ঋণখেলাপী, দ্রব্যমূল্য ও শেয়ারবাজার নিয়েও কথা বলেন৷ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান আছে৷ কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান কার সঙ্গে ব্যবসা করে তা তিনি জানেন না৷

এছাড়া কূটনীতিকদের বিশেষ প্রটোকল দেবার ব্যবস্থা তুলে নেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘হলি আর্টিজানের পর জঙ্গিবাদ থেকে সুরক্ষার জায়গা থেকে অনেকগুলো দেশকে চাওয়ার আগেই তা দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু পরে আরো অনেক মিত্র দেশ এটা চাইলে তখন এর একটি সমাধান খুঁজতে গিয়ে সবশেষ এই প্রটোকল তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ তবে কেউ চাইলে অর্থ দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করতে পারে৷''

জেডএ/এআই