নীতিতে পরিবর্তন আনতে সম্মত ফেসবুক
২২ ডিসেম্বর ২০১১ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাথাব্যথার অন্ত নেই৷ ছলে-বলে-কৌশলে ফেসবুক আবার ভোক্তার গোপনীয় বিষয়াদি অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছে নাতো? বিশেষ করে ইউরোপ, অ্যামেরিকার নাগরিকরা নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ, ব্যক্তিগত অনেক কিছু নিজেদের মধ্যে কিংবা বন্ধু, বান্ধবের একটি নির্দিষ্ট পরিমণ্ডলের মধ্যে রাখতে পছন্দ করেন৷ এসব দেশে তথ্য সুরক্ষা আইনও কঠোরভাবে পালন করা হয়৷
কিন্তু ফেসবুকে দেওয়া ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য কতটা ব্যক্তিগত থাকছে, তাই নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে অনেকের মনে৷ তাছাড়া ফেসবুক কয়েকদিন পরপরই বিভিন্ন পরিবর্তন আনে৷ হালে যোগ হচ্ছে টাইমলাইন৷ এই টাইমলাইন সাইটটির সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে, এটা মানতেই হবে৷ অনেক ব্যবহারকারীও টাইমলাইনকে লুফে নিচ্ছেন৷ কিন্তু উদ্বিগ্ন অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা৷ কেননা, সাইটটির তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশই জটিল আকার ধারণ করছে৷
ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা, মানে আপনি যা কিছু সেখানে শেয়ার করছেন, সেটা দু'লাইন মন্তব্য, ছবি বা ভিডিও যাই হোক না কেন, সেটি কে দেখছে কিংবা কে দেখছে না, তার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা চাই আপনার৷ কেননা, আপনার পছন্দ-অপছন্দ বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে৷ তাই এসব বিষয় বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে গেলে, আপনার বিরক্তি বাড়তে পারে৷ তাছাড়া ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও যেগুলো আপনি নেহাত ব্যক্তিগত পরিমণ্ডলে প্রদর্শন করছেন, সেটাও যাতে সেই পরিমণ্ডলের বাইরে চলে না যায়, তাও নিয়ন্ত্রণ জরুরি৷
আয়ারল্যান্ডের তথ্য সুরক্ষা দপ্তরের চাপের মুখে ফেসবুক এবার নিরাপত্তা রীতিনীতি আরো স্বচ্ছ এবং সহজ করতে সম্মত হয়েছে৷ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে চেহারা সনাক্তের যে ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি'র উপর ব্যবহারকারীদের পূর্ণ অধিকার দেবে সাইটটি৷ এতে করে কেউ না চাইলে, তার চেহারা সনাক্ত করতে যাবে না ফেসবুক৷ এছাড়া সাইটটি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য মোছা এবং ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যে নিয়মনীতি চালু আছে, তাতেও পরিবর্তন আনবে সংস্থাটি৷ একইসঙ্গে যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন না, তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও আরো সতর্ক হবে ফেসবুক৷
বলা বাহুল্য, আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য৷ ফলে আইরিশদের চাপে যে পরিবর্তন সংস্থাটি আনবে, সেটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য সুরক্ষা অধিকারের সঙ্গেও সামঞ্জপূর্ণ হতে হবে৷ তাই ফেসবুকের নিয়মনীতিতে যে পরিবর্তন আসবে, সেটা প্রযোজ্য হবে ইইউভূক্ত সব দেশের ক্ষেত্রেই৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক