নীল কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে আছে লিসবন
আর্জেন্টিনা, বলিভিয়ার নীল কৃষ্ণচূড়াকে উনিশ শতকে পর্তুগালে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ এখন প্রতিবছর লিসবন শহরটি মে-জুন মাসে এই ফুলে ছেয়ে যায়৷
জ্যাকারান্ডা বা নীল কৃষ্ণচূড়া
পর্তুগালের লিসবন পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় এক শহর৷ বছরের মে-জুন মাসে সেখানে গেলে সর্বত্র জ্যাকারান্ডা বা নীল কৃষ্ণচূড়ার দেখা পাওয়া যায়৷ আর্জেন্টিনা, বলিভিয়ার নীল কৃষ্ণচূড়াকে উনিশ শতকে পর্তুগালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷
ইন্সটাগ্রামের প্রিয়
জাপান কিংবা জার্মানির বন যেমন চেরি ফুলের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয়, তেমনি লিসবনে পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় নীল কৃষ্ণচূড়া৷ এই ফুলের জন্য মে-জুন মাসে লিসবন যে রূপ ধারণ করে তার ছবি তুলে ইন্সটাগ্রামসহ অন্যান্য অ্যাপে পোস্ট করা অনেক পর্যটকের কাছে এখন একটি আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে উঠেছে৷
সৌন্দর্যের জন্য খানিকটা সমস্যাও হয়
ঝরে পড়া নীল কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িও ছবি তোলার জন্য দারুণ একটি বিষয়৷ তবে সমস্যাও আছে৷ বিশেষ করে যারা নীল কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে গাড়ি রাখেন তাদের ছোট্ট এক সমস্যায় পড়তে হয়৷ কারণ পাপড়িগুলো একটা সময় আঠালো হয়ে যায়৷
মধুমিশ্রিত বাতাস
লিসবনের এডুয়ার্ডো সপ্তম পার্কে নীল কৃষ্ণচূড়ার এক বিশেষ জাতের গাছ জন্মে৷ তবে এই জাতের গাছের ফুলের জন্য ফুলপ্রেমিদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়৷ কারণ, এই জাতের গাছে প্রথম ফুল ধরতে প্রায় ১০ বছর লেগে যায়৷ তবে এই ফুল শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এর ঘ্রাণ কিছুটা মধুর গন্ধের মতো৷
যার হাত ধরে পর্তুগালে নীল কৃষ্ণচূড়া
ফেলিক্স আভেলার বোটেরোকে পর্তুগালে উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক বলা হয়৷ তিনিই পর্তুগালে নীল কৃষ্ণচূড়া নিয়ে এসেছিলেন৷ ছবিতে লিসবনের আলফামায় নীল কৃষ্ণচূড়া দেখতে যাওয়া পর্যটকদের দেখা যাচ্ছে৷
বাসের জন্য় অপেক্ষাও যেন মধুর
লিসবনের এক বাসস্টপের কাছে নীল কৃষ্ণচূড়ার কয়েকটি গাছ দেখা যাচ্ছে৷ সেখানে যাত্রীদের বাসের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হলেও খারাপ লাগার কথা না৷ লিসবনের লারগো ডো রাটো, এডুয়ার্ডো সপ্তম পার্ক, লার্গো ডো কার্মো, অ্যাভেনিউ ডোম কার্লোস প্রথম ও অ্যাভেনিউ ডা টোর ডে বেলেম এলাকায় নীল কৃষ্ণচূড়ার গাছ বেশি দেখা যায়৷