নেইমার যেন অটো-পাইলট!
২৭ জুলাই ২০১৪প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ভিড় থেকেও ব্রাজিলের সুপারস্টার নেইমার কীভাবে বল নিয়ে নেচে নেচে বেরিয়ে যান এই রহস্য উদঘাটনের জন্য অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন জাপানের নিউরোলজিস্ট এলিচি নাইতো৷ গত ফেব্রুয়ারিতে নেইমারসহ স্পেনের বার্সেলোনা শহরের বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার উদ্যোগ নেন তিনি৷ প্রত্যেকের মস্তিষ্কের এমআরআই করে একটা সিদ্ধান্তেই পৌঁছেছেন তিনি, আর তা হলো, নেইমার গড়পড়তা খেলোয়াড়তো বটেই, এমনকি অনেক তারকা খেলোয়াড়ের চেয়েও আলাদা৷ আলাদা হবার কারণ তাঁর অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় মস্তিস্ক!
হ্যাঁ, নেইমারের মস্তিষ্ক দশজনের চেয়ে শতকরা অন্তত ১০ ভাগ কম সক্রিয়৷ সে কারণেই নাকি খুব দ্রুত ছুটতে ছুটতেও অনায়াসে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের বোকা বানাতে পারেন ২৩ বছর বয়সি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড৷ জাপানের মাইনিচি শিমবুন পত্রিকাকে এলিচি নাইতো বলেন, ‘‘এমআরআই-এর সব ছবি দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, নেইমারের মস্তিষ্ক একজন শৌখিন খেলোয়াড়ের মস্তিষ্কের তুলনায় ১০ ভাগ কম সক্রিয়৷ কম সক্রিয় হলে মস্তিষ্কে চাপও কম পড়ে আর তখন (কোনো খেলোয়াড়) এক সময়েই অনেক জটিল মুভমেন্ট দেখাতে পারে৷''
বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা মেসি এবং রেয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা রোনাল্ডোর মস্তিষ্কও কি নেইমারের মতো? এ প্রশ্নের জবাবে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনের গবেষক এলিচি নাইতো বলেন, ‘‘তাঁদের ফুটওয়ার্ক এবং টেকনিক দেখে তো তা-ই মনে হয়!''
নেইমারকে নিয়ে এলিচি নাইতোর এ গবেষণা বিষয়ক সমস্ত তথ্য ছাপা হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক সুইস জার্নাল ফ্রন্টিয়ার-এ৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি)