1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নেটফ্লিক্সের পৌষ মাস, বোয়িংয়ের সর্বনাশ

১৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকটের জের ধরে বিপর্যস্ত অর্থনীতি৷ তা সত্ত্বেও অ্যামেরিকার পুঁজিবাজারে কিছু কোম্পানি রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ অন্যদিকে বিমান চলচাল ও জ্বালানীর মতো অনেক ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/3b3gz
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Amendola

কথায় বলে, ‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ'৷ করোনা সংকটের কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যখন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে, কিছু কোম্পানির কার্যকলাপ ও ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছে৷ লকডাউনের ফলে ঘরবন্দি মানুষ একঘেয়েমি কাটাতে ইন্টারনেটে একের পর এক চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক দেখে চলেছেন৷ তাই নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানির পোয়াবারো৷ মানুষ আতঙ্কে বিপুল পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ফলে অনেক সুপারমার্কেটেও বিক্রি বেড়ে গেছে৷ এছাড়া খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিনতে অনেকেই বাইরে যেতে না পারায় হোম ডেলিভারি সার্ভিসের চাহিদাও বাড়ছে৷ ফলে এমন সব কোম্পানির মুনাফাও বাড়ছে৷

বৃহস্পতিবার অ্যামেরিকার পুঁজিবাজারে এই দুই নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন কোম্পানির শেয়ার রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ ওয়ালমার্ট কোম্পানিও ভালো ফল করেছে৷ বোয়িংয়ের মতো অন্যান্য কোম্পানি করোনা সংকটে বিপর্যস্ত হলেও অ্যামাজন ও নেটফ্লিক্সের মতো কোম্পানির দৌলতে ওয়াল স্ট্রিট কিছুটা সাফল্যের মুখ দেখেছে৷ ট্রাম্প প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগের ঘোষণা করার ফলেও বাজারে কিছুটা উৎসাহ দেখা গেছে৷ করোনা সংকটের মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশাল প্রণোদনা ঘোষণার কারণেও পুঁজিবাজার আশ্বস্ত হচ্ছে৷

করোনা সংকটের কুপ্রভাব পুরোপুরি কাটার লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ অনেক দেশে কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করা হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সংকটের আগের আদৌ অবস্থায় ফিরবে কিনা, তা নিয়ে গভীর সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ বিশ্বায়নের জের ধরে অনেক পণ্য ও পরিষেবা সংক্রান্ত কার্যকলাপ একাধিক দেশে ছড়ানো থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠছে৷ অনেক অর্থনীতিবিদ করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক কাঠামো ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন৷ যে সব কোম্পানি ততদিন টিকে থেকে দ্রুত পরিবর্তনের কাজে হাত দেবে না, তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে সাফল্য বজায় রাখা কঠিন হবে বলে তাঁরা মনে করছেন৷

করোনা সংকটের ফলে যেসব ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল, জ্বালানী, শপিং মলের মতো বিপণী অন্যতম৷ অদূর ভবিষ্যতে উন্নতির কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না৷ ফলে এ সব ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই অনিবার্য হয়ে পড়ছে৷ সরকারি ভরতুকি সেই ধাক্কা কিছুটা সামলাতে পারলেও এমন পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদী সমাধানসূত্র হতে পারে না৷

পুঁজিবাজারের অনেক বিশ্লেষক অবশ্য বর্তমান সংকটকে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখছেন৷ তাঁদের মতে, বাজার কোম্পানিগুলিকে সফল ও অসফল – এই দুই ভাগে ভাগ করতে পারলে আখেরে ভালো হতে পারে৷ গভীর মন্দার আশঙ্কায় আতঙ্কে এলোপাথাড়িভাবে শেয়ার বিক্রির বদলে স্পষ্ট বিভাজন হলে অরাজকতা কমবে বলে তাঁরা মনে করছেন৷ তবে আগামী কয়েক মাসে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা বাড়লে সব হিসেব গোলমাল হয়ে যেতে পারে৷

 

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)