নেতানিয়াহু শিক্ষক, ছাত্র ওবামা
২১ মে ২০১১ওবামার কথা
দুদিন আগে ওবামা মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে একটা ভাষণ দিয়েছিলেন৷ সেসময় প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে আলোচনা তার ভিত্তি হতে হবে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত৷ অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন, ঐ সময় আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের যে যুদ্ধ হয়েছিল তার আগে দুদেশের যে সীমান্ত ছিল সেটাতে ফিরে যেতে হবে৷
নেতানিয়াহুর বক্তব্য
ওবামার কথা অনুযায়ী কাজ করলে ইসরায়েলিদের অনেককে জমি ছাড়তে হবে৷ কারণ বছরের পর বছর ধরে অনেক ইসরায়েলি সেখানে আবাস গড়ে তুলেছে৷ এই কথাটাই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ওবামাকে বলেছেন৷ তিনি বলছেন এটা হলে ইসরায়েলের অনেক মানুষ ঘর হারাবে৷ তাই এটা সম্ভব নয়৷ আর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা যে স্বপ্ন দেখছেন সেটা ‘বাস্তবসম্মত' নয় বলেও সরাসরি মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু৷ এছাড়া ওবামার সঙ্গে বৈঠকের সময় নেতানিয়াহু ইহুদিদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম সম্পর্কে ওবামাকে বিস্তারিত জানান৷ এসময় ওবামা ভাল ছাত্রের মতো মুখের ওপর হাত রেখে নেতানিয়াহুর সব কথা শুনেছেন বলে জানা গেছে৷ এদিকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ইসরায়েলের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওবামার ভাষণকে ‘অযৌক্তিক' বলেছেন৷ এবং এটা শান্তি প্রক্রিয়াকে অনেক বছর পিছিয়ে দেবে৷
ওবামার বক্তব্য
ওবামা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাঁর ও নেতানিয়াহুর ধ্যান ধারণার মধ্যে অনেকক্ষেত্রেই মিল নেই৷ তবে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুর এই ‘যুদ্ধংদেহী' মনোভাবে রাগ প্রকাশ করেছেন৷
ফলাফল
নেতানিয়াহুর এমন মনোভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন থেকে যে প্রচেষ্টা করে আসছে সেটা এখন অনেকটা কঠিন হয়ে গেল৷ গত বছর থেকে এই আলোচনা বন্ধ রয়েছে৷
ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া
তারা মোটামুটি খুশি৷ তবে ওবামা যে সীমানার কথা বলেছেন, ইসরায়েল যেন তা মেনে চলে, সেটা নিশ্চিত করা তাঁর উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম