ন্যাটো সম্মেলনের পর ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা
১৩ জুলাই ২০২৩কিয়েভ ও তার আশেপাশের এলাকায় রাশিয়ার ২০টি ড্রোন ধ্বংসের খবর দিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী৷
ন্যাটো ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানালেও ইউক্রেনকে কখন ন্যাটোর সদস্য করা হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেনি৷ কেবলমাত্র ‘শর্ত পূরণ হলেই' ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আহ্বান করা হবে বলে ন্যাটো জানিয়েছে৷
এদিকে, শিল্পোন্নত সাত দেশের সংগঠন জি-সেভেনের নেতৃবৃন্দ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়াকে হারাতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদান বিষয়ে ন্যাটোর কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার ঘোষণা আশা করেছিলেন৷ তবে সেটি পূরণ না হলেও ন্যাটো ও জি-সেভেন নেতারা ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাওয়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, তাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা জয়' বলে আখ্যায়িত করেছেন জেলেনস্কি৷
অবশ্য যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা ইউক্রেনীয়রা ন্যাটো সম্মেলনের ফল নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ তারা চেয়েছিলেন, এখনই ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হোক৷
পরমাণু হামলার হুমকি
আগস্ট মাসে ইউক্রেনের পাইলটদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি যুদ্ধবিমান এফ-১৬ চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হবে বলে মঙ্গলবার জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা৷ যদিও এখনও কোনো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ দেয়ার অঙ্গীকার করেনি৷
তবে বিষয়টি মস্কোকে ক্ষুব্ধ করেছে৷ তারা বলছে, ইউক্রেনকে এফ-১৬ দেয়া হবে সেটিকে ‘নিউক্লিয়ার' হুমকি হিসেবে দেখা হবে কারণ এই বিমান পরমাণু বোমা বহন করতে পারে৷ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘‘এই বাহন যে পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে সেই বিষয়টি রাশিয়া উপেক্ষা করতে পারে না৷ কোনো ধরনের নিশ্চয়তাই এখানে সহায়ক হবে না৷''
জেডএইচ/কেএম (এএফপি)