পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুটিন
মঙ্গলবার মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন পুটিন৷ ১৯৯৯ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ায় ক্ষমতায় আছেন তিনি৷
পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট
পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মঙ্গলবার শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুটিন৷ ১৯৯৯ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ায় ক্ষমতায় আছেন তিনি৷ এবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছয় বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারলে পুটিন ১৮ শতকের সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন দ্য গ্রেটের পর রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শাসক হবেন৷ এই মেয়াদের পর আবারও নির্বাচন করতে পারবেন পুটিন৷
‘দেশ এক থাকার প্রমাণ’
শপথ অনুষ্ঠানে পুটিন বলেন, মার্চের নির্বাচনে তার বিশাল জয় এটিই প্রমাণ করে যে, রাশিয়ায় সবার মধ্যে ঐক্য আছে এবং দেশ ঠিক পথে চলছে৷
পুটিনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান
রাশিয়ায় পুটিনের সবচেয়ে বড় বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আলেক্সেই নাভালনি৷ গত ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে থাকার সময় হঠাৎ তিনি মারা যান৷ তার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের পুটিনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান৷ ‘‘তার (পুটিনের) প্রতি মেয়াদে সবকিছু শুধু খারাপের দিকে গেছে, এবং পুটিন ক্ষমতায় থাকলে আর কী কী যে হতে পারে, তা ভেবে আতঙ্কিত হতে হয়’’ বলেন নাভালনায়া৷
পশ্চিমের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ
পুটিন বলেন, তিনি পশ্চিমের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্রসহ যে-কোনো বিষয়ে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছেন না৷ ‘‘সিদ্ধান্ত তাদের: তারা কি রাশিয়ার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা চালিয়ে যেতে চায়, আমাদের দেশের উপর চাপ প্রয়োগ করে যেতে চায়, নাকি সহযোগিতা ও শান্তির পথ খুঁজতে চায়,’’ বলেন তিনি৷
পশ্চিমা অতিথি
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পুটিনের পুনর্নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ ছিল না৷ তাই তার শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কেউ উপস্থিত ছিলেন না৷ ব্রিটেন, ক্যানাডা, ইইউর বেশিরভাগ দেশও শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে৷ তবে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷
পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক
১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল সংকটের পর এখনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে সবচেয়ে তলানিতে আছে৷ ১৯৬২ সালে পরমাণু যুদ্ধ শুরুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর ইউক্রেনকে অস্ত্র, ট্যাঙ্ক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ তবে ন্যাটো সেনারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি৷