বিপর্যস্ত সরকার, কারণ ‘জঙ্গির স্ত্রী'
২১ জানুয়ারি ২০২০নরওয়ের সংবিধানে আগাম নির্বাচনের বিধান নেই৷ নইলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের অনেক আগেই পতন হতো ক্ষমতাসীন জোট সরকারের৷
সরকারের এমন অবস্থায় পড়ার কারণ ২০১৩ সালে নরওয়ে থেকে সিরিয়ায় চলে যাওয়া এক নারী৷ সম্প্রতি তিনি তার দুই সন্তানের একজনের চিকিৎসার জন্য আবার ফিরে আসতে চাইলে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে প্রোগ্রেস পার্টি৷ দলটির অভিযোগ, সিরিয়ায় গিয়ে সেই নারী এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন৷ এমন ‘জঙ্গি সমর্থক' নারীকে দেশে না ফেরানোর দাবিও তোলে তারা৷ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রয়োজনে শিশুকে এনে সব রকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়া যেতে পারে, তবে ‘জঙ্গি সমর্থক' প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ফিরতে দেয়া যাবে না৷
কিন্তু প্রোগ্রেস পার্টির এ দাবি মেনে নেয়নি রক্ষণশীল দল৷ সম্প্রতি ওই নারী সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আল-হোল শরণার্থী শিবির থেকে নরওয়েতে ফিরে আসেন৷
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রোগ্রেস পার্টির নেতা, বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী সিভ জেনসেন জানান, এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া সম্ভব নয়, তাই জোট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে তার দল৷ দলকে জোটের অংশ করায় নিজের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের (দলকে) আমি সরকারের অংশ করেছিলাম এবং এখন দলকে আমিই সরিয়ে নিচ্ছি৷''
প্রোগ্রেস পার্টি সরে দাঁড়ানোয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে রক্ষণশীল দল৷ আগাম নির্বাচনের বিধান না থাকায় তারপরও অবশ্য এখনই সরকারের পতন হচ্ছে না৷ প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু সরকারের চলতি দায়িত্বে তিনি থেকে যেতে চান৷
সিরিয়া যুদ্ধ শুরুর পর সেই দেশে চলে যাওয়া নারীদের ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ইউরোপে নতুন নয়৷ তবে আপত্তি সত্ত্বেও কোনো কোনো নারীকে বিশেষ বিবেচনায় ফেরানো হচ্ছে৷ গত নভেম্বরে জার্মানিতেও ফিরেছেন একজন৷
এসিবি/জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)